CBI
কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে সিবিআই৷ হাওড়ার দাসনগর-সহ পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামে একটি সংস্থার হাতে। ওই সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসে৷ তলবে সাড়া দিয়ে সিবিআইয়ের কলকাতার দফতরে হাজিরাও দেন তিনি। তাঁকে ওএমআর শিট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ওই সংস্থার অফিস, গোডাউনের পাশাপাশি অন্যান্য কর্তা ও কর্মীদের বাড়িতেও মঙ্গলবার হানা দিয়েছে সিবিআই৷
প্রসঙ্গত, এই মামলার তদন্তকারী হিসাবেই সিবিআইয়ের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টেটের ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলার শুনানি পর্বে মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ওএমআর শিটের ‘ডিজিটাইজড ডেটা’য় ভুল তথ্য রয়েছে। আদালতে ওএমআর শিটের তথ্য বলে যে নথি পেশ করা হয়েছে, তা কোনও ভাবেই সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড ডেটা বলতে যা বোঝায়, তা হল ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পর্ষদ আদালতে যেটা পেশ করেছে, সেটা আদতে টাইপ করা তথ্য। আর সেই তথ্যে প্রশ্ন-উত্তরের অনেক বিকল্পেও ভুল ধরা পড়েছে৷
মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পরই সিবিআই-এর কাছে বিচারপতি জানতে চান, কী ভাবে এই ফাঁকি? অভিযুক্তদের যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার উচিত ছিল, সিবিআই তা করেনি৷ বুধবার এ ব্যাপারে সিবিআইকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই তো কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই করেনি। কী প্রশ্ন করবে সেটাও কি আমাকে বলে দিতে হবে? আপনাদের কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো?… এর চেয়ে উলুবেড়িয়া থানাকে কেসটা দিলেই ভাল হত!’’ আদালতের ভর্ৎসনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্তাকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়৷ আজ সকাল থেকে শুরু তল্লাশি৷