১৫ আগস্টে রেকর্ড ভিড় শপিং মলে, বিক্রি হল না সেই তুলনায়

এই তিনদিন ধরে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের পা পড়েছে অ্যাক্রোপলিস, সিটি সেন্টার মলগুলিতে। যদিও সেই অনুযায়ী যে কেনাকাটা হয়েছে তা নয়। স্রেফ আড্ডা দিতে এবং বন্ধুবান্ধব, পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাতেই শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হয়েছেন বিপণি কেন্দ্রগুলোয়। 

কলকাতা: করোনা সংক্রমণের জেরে জমায়েত বন্ধ সব জায়গায়। বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল শহরের সমস্ত শপিং মলগুলো। লকডাউন পেরিয়ে আস্তে আস্তে ফের খুলেছে সেগুলো। তবু, অতি সাবধানে নিয়ন্ত্রিত হারে চলছে প্রবেশ এবং বিক্রিবাটা। শপিং মল চত্বরে মানুষের আড্ডার চিত্রও হয়ে গেছিল সম্পূর্ণ উধাও। এই সপ্তাহান্তে যেন কিছুটা ফিরে এল পুরনো দিন। শহরের শপিং মলগুলোতে দেখা গেল রেকর্ড ভিড়। 

গত শুক্রবার ছিল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। তারপর শনি এবং রবিবার মিলিয়ে বেশ জমজমাট উইকেন্ড। বহু শহরবাসী যেমন সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করেই ছুটে গেছেন দিঘা, শান্তিনিকেতনে সেরকম অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন শপিং মলে। এই তিনদিন ধরে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের পা পড়েছে অ্যাক্রোপলিস, সিটি সেন্টার মলগুলিতে। যদিও সেই অনুযায়ী যে কেনাকাটা হয়েছে তা নয়। স্রেফ আড্ডা দিতে এবং বন্ধুবান্ধব, পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাতেই শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হয়েছেন বিপণি কেন্দ্রগুলোয়। 

জানা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে বিক্রিতে ১০ শতাংশ ভাটা পড়েছে। এর কারণ শুধ এই নয় যে মানুষ অর্থ খরচ করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না, বরং বহু মানুষ স্রেফ মলগুলিতে ভিড় করেছেন ঘুরতে। অনেকেই জিনিসপত্র না কিনে নিছক দেখতেই ভিড় করেছেন। সাউথ সিটি মলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনমোহন বাগ্রি বলছেন, অতিমারির মধ্যেই ফের মল খোলার পর জনপ্রতি ক্রয়ের হার বেড়ে গিয়েছিল এবং মলে উপস্থিতির ভিড় ছিল কম। মানুষ এসে যত শীঘ্র সম্ভব নিজের দরকারি পণ্য কিনে চলে যেত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভিড় বাড়ছে মানুষের, শপিং মলে সময় কাটানোও বেড়ে গেছে। বাগ্রি আরও জানিয়েছেন ১৫ আগস্ট, ফুড কোর্টে যে পরিমাণ ব্যবসা হয়েছে তেমনটা হয়নি অন্যান্য রিটেলার দোকানে। এ থেকে বোঝাই যায়, মানুষ ছুটির দিনে স্রেফ আনন্দ নিতে মলে ভিড় করেছে।

 

অ্যাক্রোপলিশ মলের চিত্রটাও একইরকম। স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রায় নয় লক্ষ মানুষের পা পড়েছে সেখানে। রিটেল দোকানগুলিতে মোট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ লক্ষ টাকা যা গত ৯ আগস্টে ছিল ১ কোটি। এতে অবশ্য হতাশ হওয়ার কিছু নেই, জানাচ্ছেন অ্যাক্রোপলিসের জেনারেল ম্যানেজার কে বিজয়ন। তাঁর মতে ভাইরাস আটকেতে মলগুলির প্রতিরোধ ব্যবস্থায় আস্থা ফিরেছে মানুষের। তাই তাঁরা ছুটির দিন দেখে ভিড় করেছেন। বিক্রিবাটাও এই ভাবে আগের মতো অবস্থায় ফিরে যাবে বলে তাঁর আশা।       
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =