কলকাতা: পূর্ব বেহালা থেকে ভোটের টিকিট না পেয়ে বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে অবশ্যই রয়েছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যিনি একসময় বিজেপিতে গিয়েছিলেন, এখন বিজেপি ছাড়ার পর কী হবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ? উঠে গেছে প্রশ্ন। এমতাবস্থায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি ত্যাগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পূর্ব বেহালায় নিজের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে না পেয়ে খুশি রত্না চট্টোপাধ্যায়। এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিপক্ষ এখন অনেকটাই সহজ। “ওরা কেউ প্রার্থী হলে আমায় পাঁকে নামতে হত, রাজনীতিতে আনকোরা পায়েলকে দাঁড় করানোয় আর সেটা করতে হল না”, বলেন তিনি।
বস্তুত, বরাবর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব বেহালা থেকে গতকাল বিজেপি প্রার্থী করেছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। চেনা কেন্দ্র থেকে লড়াই করার সুযোগ না পেয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ শোভন বাবু বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দল ছাড়তে আর দেরি করেননি। এদিকে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এদিন নতুন প্রতিপক্ষকে কটাক্ষ করে বলেন, “রাজনীতির র জানেনা এমন একজনকে বিজেপি প্রার্থী করবে আমি ভাবতে পারিনি।” অবশ্য প্রতিপক্ষকে লঘু করে যে দেখছেন না এদিন তাও জানিয়ে দেন তিনি।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রত্নাদেবী এদিন বলেন, “উনি রাজনীতি নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। চাইলেই যে দল টিকিট দেবে তার কোনো মানে নেই।” শুধু তাই নয়, তৃণমূলে থাকাকালীন যে আচরণ শোভন বাবু করেছিলেন বিজেপিতেও একই আচরণ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলের তরফ থেকে পূর্ব বেহালায় রত্না দেবীকে প্রার্থী করার পরেই এসেছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি। তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি প্রার্থী হই দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে।” কিন্তু তা করার আর সুযোগ পেলেন না তিনি।