ratan tata
নয়াদিল্লি: সাধ্যের মধ্যে আমআদমির শখ মেটাতে বাজারে ছোটখাটো চেহারার গাড়ি নিয়ে এসেছিল টাটা গোষ্ঠী৷ জন্মলগ্ন থেকেই এই গাড়ি ঘিরে যেমন উন্মাদনা, তেমনই বিতর্ক হয়েছে৷ রাজনৈতিক টানাপড়েনে স্থান পরিবর্তনও হয়েছে৷ আজকাল আর সেভাবে রাস্তায় দেখা যায় না টাটা ন্যানো। তবে কয়েক বছর বিরতির পর ফের নতুন লুকে কামব্যাক করতে চলেছে টাটাদের সাধের কার৷
ন্যানো নাকি শিল্পপতি রতন টাটার ‘স্বপ্নের গাড়ি’ ৷ এক দশকেরও বেশি সময় আগে দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল টাটাদের এই চারচাকা। বাজারে আত্মপ্রকাশ করে ‘এক লাখি’ গাড়ি৷ লক্ষ্য একটাই, সাধ্যের মধ্যে সস্তায় যেন মধ্যবিত্তরাও সাধ পূরণ করতে পারে চারচাকার। তবে সেই লক্ষ্যপূরণে করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে৷ রাজনৈতিক আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর থেকে কারখানা নিয়ে যেতে হয়েছে গুজরাতের সানন্দে৷ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ন্যানোর যাত্রা। তবে যতটা আশা জাগিয়েছিল, ততটা বাজার ধরতে পারেনি ন্যানো৷
এই গাড়ির ব্যবসা তেমন লাভজনক হয়নি। ভারতীয় গাড়ি বাজারে তেমন জনপ্রিয়টতাও পায়নি৷ সাফল্য না-মেলায় ধীরে ধীরে মন্দার মুখে পড়ে ন্যানোর ব্যবসা। ২০১৮ সালে সানন্দে শেষ বার ন্যানো উৎপাদন হয়। তার পরই থমকে যায় এর যাত্রাপথ৷ তবে ন্যানো নিয়ে মানুষের মনে আজও উৎসাহের অন্ত নেই। ফের একবার শিরোনাম কাড়ল ন্যানো।
শোনা যাচ্ছে, একেবারে নতুন অবতারে আবার বাজারে পা রাখতে পারে রতন টাটার স্বপ্নের গাড়ি। যদিও টাটা মোটরসের তরফে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কেমন হবে নতুন ন্যানোর লুক? অনেকেই নিজেদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম শিল্পী নবীন আদিত্য। জানা গিয়েছে, এই গাড়ির কাঠামো হবে ন্যানোর পুরনো মডেলের মতোই। তবে গোটা চেহারার মধ্যে এসইউভি-র ঝলক থাকবে। দেখে ছোটখাটো এসইউভি মনে হতে পারে।
নতুন ন্যানোর চাকায় সবটাই টেরেন টায়ার রাখা হয়েছে। গাড়িতে থাকবে দুটি দরজা৷ কানাঘুষো, এবার ইলেক্ট্রিক গাড়ি হিসাবে ন্যানোর প্রত্যাবর্তন ঘটাতে চলেছে। দেশে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদা লক্ষ্য করেই এমন সিদ্ধান্ত। ফলে ন্যানো নতুন অবতারে এলে তা বৈদ্যুতিক গাড়ি হতে পারে বলে ধারণা৷