New Train
নয়াদিল্লি: দেশের প্রথম আঞ্চলিক সেমি-হাইস্পিড রেল পরিষেবা চালু হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। আজ, শুক্রবার ষষ্ঠীর দিন দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট রুটে রিজিওনাল ব়্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম বা RRTS-এর উদ্বোধন করবেন তিনি। তার আগেই বৃহস্পতিবার ট্রেন পরিষেবার নাম বদলে ফেলা হল৷ তা রাখা হল নরেন্দ্র মোদীর নামে।
প্রধানমন্ত্রীর আত্মপ্রচার নিয়ে বারবারই অভিযোগের সুর চড়া করেছে বিরোধীরা৷ নমো যে আত্মকেন্দ্রিক, সেটাও কারও অজানা নয়৷ তবে তিনি যে ভাবে নিজের নামে দেশের বিভিন্ন জিনিসের নামকরণ শুরু করেছেন, তাতে চটেছেন বিরোধী নেতারা। ইতিমধ্যেই পদ্মফুলের নতুন একটি প্রজাতির নাম রাখা হয়েছে ‘নমো ১০৮’৷ যা তাঁর নাম এবং পদবির আদ্যক্ষর জুড়ে তৈরি। এছাড়াও আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম বদলে করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম৷ সেই তালিকা আরও দীর্ঘ করে এবার নিজের নামে ট্রেন উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী! এই ট্রেনের নাম হবে ‘নমো ভারত’৷ বন্দে ভারতের সঙ্গে নাম মিলিয়েই এই ট্রেনটির নাম রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রের দাবি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ট্রেনের নয়া নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। কিন্তু, ‘নমো ভারত’ নিয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক৷
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে তোপ দেগে বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়েই প্রধানমন্ত্রী মরিয়া হয়ে আত্মপ্রচারে নেমেছেন৷ আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও৷ তিনি বলেন, সরকারি পয়সায় কেন্দ্রীয় সরকার রীতিমতো ব্যক্তিপ্রচার শুরু করে দিয়েছে। এভাবে কোনও দেশ চলতে পারে না। মোদী সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের নেতা পবন খেরা খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘ভারত নামটাই বা আর রাখার দরকার কী? এবার দেশের নামটাই বদলে নমো করে দেওয়া হোক। তাহলেই ষোলোকলা পূর্ণ হবে!’
যদিও ট্রেনের নাম নিয়ে এর আগেও বিতর্ক হয়েছে৷ গত সেপ্টেম্বরে মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে ছ’টি বিশেষ ট্রেন চালিয়েছিল সরকার। সেই ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়ছিছিল ‘নমো এক্সপ্রেস’।