ram temple
নিজস্ব প্রতিনিধি: মেগা লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার রাম মন্দির উদ্বোধন। তার জন্য কোথাও খামতি রাখতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। ২২ জানুয়ারির আগে বাংলা তথা প্রতিটি রাজ্য থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী অযোধ্যায় যাতে সহজেই যেতে পারেন, তার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ‘ঘর ঘর যাত্রা’য় অংশ নিতে প্রস্তুত বিজেপির নেতাকর্মীরাও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আগেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল। ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভগবান শ্রী রামের মহিমা প্রচার করবেন এই কর্মসূচির মাধ্যমে। আর শুধু বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নয়, জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু করে দু’সপ্তাহ ধরে সেই কর্মসূচিতে সামিল হতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের মহিমার কথা রাজ্যের প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌঁছে দেবেন বঙ্গ বিজেপির কর্মীরা। জানা গিয়েছে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা আগেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। সবমিলিয়ে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রাম মন্দির উদ্বোধনের পর হিন্দুত্ব আবেগে ভেসে যাবে গোটা দেশ। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে বা মার্চের শুরুতেই মেগা লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর রাম মন্দির উদ্বোধনকে বিজেপি যে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করবে, তা স্পষ্ট। তার শুরুটা নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দেখা যাবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে লোকসভা নির্বাচনে এমনিতেই বিজেপি ফেভারিট হিসেবে ময়দানে নামছে। তার উপর রাম মন্দির আবেগ বিজেপির কাছে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ। যা বিজেপির আসন সংখ্যা ৩৫০ পার করে দেবে বলে আশায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে আগামী শনিবার অযোধ্যায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নবরূপে সজ্জিত অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। সেই সঙ্গে অযোধ্যা জংশন স্টেশন ‘অযোধ্যা ধাম’ নামে আত্মপ্রকাশ করে আরও বেশি করে সবার নজর কেড়ে নিতে তৈরি। ঝাঁ চকচকে অত্যাধুনিক এই স্টেশন দেখলে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। ইতিমধ্যেই অযোধ্যার ছোট বড় সমস্ত হোটেল জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কোথাও ঘর খালি নেই। অর্থাৎ রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে রাম মন্দির উদ্বোধনের অভিঘাত লোকসভা নির্বাচনে যে ব্যাপকভাবে পড়বে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হিন্দুত্ব আবেগে ভেসে গিয়ে বিজেপির সর্বস্তরের নেতৃত্ব নির্বাচনী প্রচারে নামার জন্য পুরোপুরি তৈরি। ঘটনা হল রাম মন্দির সম্পূর্ণ হতে আরও বেশি সময় লাগবে। রাজনৈতিক মহল মনে করে লোকসভা নির্বাচনের কারণেই মন্দিরের একাংশ ২২ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তা মানতে রাজি নন হিন্দুত্ববাদীরা। আর এই আবহের মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ভোট। তাই মন্দির উদ্বোধনের ডিভিডেন্ড পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গেরুয়া শিবির।