ram temple
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসনে জিতে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে গতবারের ফলাফল কি তারা ধরে রাখতে পারবে? এই প্রশ্ন যখন উঠছে তখন দেখা যাচ্ছে রাম মন্দির উদ্বোধনের উপর অনেকটাই ভরসা করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাই বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বহু অঞ্চলে আগামী ২২ জানুয়ারি রামপুজো করতে চায় বিজেপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলি।
এই আবহের মধ্যে জানা গেল কোচবিহারে তিনটি রাম মন্দির তৈরি হতে চলেছে। অর্থাৎ শুধু উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নয়, রাম মন্দির তৈরি হতে চলেছে কোচবিহারেও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগে জেলায় তিনটি রাম মন্দির তৈরি হতে চলেছে। সঙ্গে রয়েছেন কোচবিহার জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকরা। সেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ছড়ারকুঠি গ্রামে দুটি ট্রাক ভর্তি বেলেপাথর নিয়ে আসা হয়েছে সুদূর রাজস্থান থেকে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তদারকিতে মন্দির তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। জানা গিয়েছে কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার মাথাভাঙা এবং শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রেও আরও দুটি রামমন্দির তৈরি করতে চলেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সেই দুটি মন্দির নির্মাণেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সহযোগিতা করছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বেলেপাথরের পাশাপাশি দক্ষ কারিগরদের রাজস্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। কাজ ঠিকঠাক এগোলে ২২ জানুয়ারি এই মন্দিরের সূচনা করা হবে। মন্দিরটি উচ্চতায় ৩০ ফুট এবং চওড়ায় হবে ১৫ ফুট। ইতিমধ্যেই মন্দিরে স্থাপনের জন্য শ্রীরামচন্দ্র-সহ মোট ন’টি বিগ্রহ আনা হয়েছে। অর্থাৎ রাম মন্দির আবেগ প্রবলভাবে কোচবিহার তথা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দিতে চায় গেরুয়া শিবির।
গত বছর ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে হেরে গিয়েছে বিজেপি। জেতা আসন তারা ধরে রাখতে পারেনি। অথচ উত্তরবঙ্গ জুড়ে এখনও বিজেপির শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। তবে আগের চেয়ে সেই সংগঠন কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। বিগত কয়েক মাসে বিজেপির বহু নেতা কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে কি সেই কারণেই কোচবিহারে রাম মন্দির তৈরি করে সেই আবেগ গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ফের গতবারের মতো ভাল ফল করতে চায় গেরুয়া শিবির? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।