ram temple
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির লক্ষ্য ৪০০ আসন ক্রস করা। আর সেই লক্ষ্যে বিজেপির ‘ট্রাম্প কার্ড’ নিঃসন্দেহে রাম মন্দির উদ্বোধন, এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহল। আর সেই কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ তথা বিশ্ব। এখন বিজেপির সামনে একটাই লক্ষ্য, রাম মন্দির আবেগকে দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে দেওয়া। আর সেই কাজ যে শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর সহানুভূতি হাওয়ায় ভর করে কংগ্রেস ৪১৪টি আসনে জয়লাভ করে ফের ক্ষমতায় এসেছিল। ভারতের ইতিহাসে সেই প্রথম কোনও একটি রাজনৈতিক দল একক ভাবে ৪০০ আসনের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল। বিজেপি এবার সেই রেকর্ডকে ছুঁতে চায়। সেই অনন্য রেকর্ডের কৃতিত্বের অংশীদার হতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই লক্ষ্যে রাম মন্দির যে বিজেপির সবচেয়ে বড় অস্ত্র, সবচেয়ে বড় ‘ট্রাম্প কার্ড’, সেটা আজ আর নতুন কোনও কথা নয়। তাই ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিজেপি বৃত্ত সম্পন্ন করে ফেলল, এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। রাম মন্দির আবেগকে ভর করে ৪০০ আসন পেরিয়ে গেলে তবেই বৃত্তটা সম্পূর্ণ হবে বলে গেরুয়া শিবির মনে করছে। তাই বহুদিন ধরেই ২২ জানুয়ারি দিনটির দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে ছিল বিজেপি।
রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন রাম মন্দির উদ্বোধন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে। এমনিতেই বিজেপি এই নির্বাচনের ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামছে। সেই জায়গায় বিরোধীদের সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে রাম মন্দির হাওয়া প্রবল ভাবে কাজ করবে বলে রাজনৈতিক মহল একপ্রকার নিশ্চিত। বিশেষ করে উত্তর ভারত জুড়ে বিজেপি রীতিমতো সুইপ করবে বলে অনেকেই নিশ্চিত। সামনেই রয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ঠিক আগেই বিজেপির হাতে চলে এল রাম মন্দির ‘অস্ত্র’। তাই আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা বিজেপিকে কীভাবে সামলাবে বিরোধীরা এখন সেটাই দেখার।