অ্যামাজনে মিলছে রাম মন্দিরের প্রসাদ? কী ভাবে?

অ্যামাজনে মিলছে রাম মন্দিরের প্রসাদ? কী ভাবে?

ram mandir 

কলকাতা: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে গোটা অযোধ্যা শহর৷ পাঁচশো বছর অপেক্ষা শেষে সিংহাসনে বসবেন মর্যাদা পুরুষোত্তম৷ ‘রামরাজ্য’ জুড়ে এখন উৎসবের মরশুম৷ আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার৷ রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র অযোধ্যা নয়, আবেগের স্রোতে ভাসছে গোটা দেশ৷ আর সেই আবেগকে কেন্দ্র করেই অসাধু ব্যবসার চক্র ফাঁদল অনলাইন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন৷  রাম মন্দিরের প্রসাদের নামে সাধারণ মিষ্টি বিক্রির অভিযোগ উঠল সংস্থার নামে। 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে খাবার-দাবার, সব কিছুই এখন অনলাইনে কেনার হিড়িক। ই-কমার্স সাইটে ঢুঁ দিলে সবকিছুই হাতের মুঠোয় পাওয়া যায় যে৷ এদিকে, এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চর্চায় রাম মন্দির৷  চলছে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার চরম প্রস্তুতি৷ গোটা দেশ যখন রামলালার দর্শনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে, তখন অনেকে এবার রাম মন্দিরের প্রসাদের খোঁজ করতে শুরু করেছেন ই-কমার্স সংস্থায়। খুঁজতে খুঁজতেই প্রসাদের সন্ধান মিলেছে অ্যামাজনে। বাড়িতে বসে  রাম মন্দিরের প্রসাদী মিষ্টি পাওয়ার আশায় অর্ডারও করে ফেলেছেন কেউ কেউ। কিন্তু, আদৌ কি সেটা সম্ভব? এই প্রসাদের সত্যতাই বা কতখানি? 

না, কোনও প্রসাদ নয়৷ বরং প্রসাদের নামে মিষ্টি বিক্রি করছে অ্যামাজন৷ এমনই অভিযোগ উঠেছে এই ই কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে। ‘ভুয়ো প্রসাদ’ বিক্রির অভিযোগ এনেছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স৷  এই বিষয়ে সতর্ক করে অ্যামাজনকে নোটিস পাঠিয়েছে সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি৷ ‘অযোধ্যা রাম মন্দির প্রসাদ’-এর নামে সাধারণ মিষ্টি বেচে ফাদয়া লুটছে জেফ বেজোসের সংস্থা৷ কেন এভাবে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে তারা? সংস্থার কাছে জবাব তলব করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না দিতে পারলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানানো হয়েছে৷ 

অভিযোগ, অ্যামাজনে যে মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে, তার ছবির নীচে ডেসক্রিপশন বক্সে লেখা থাকছে প্রসাদের কথা৷ রঘুপতি ঘি লাড্ডু,  ক্ষীর লাড্ডু, ঘি বোঁদে লাড্ডু, দেশি গরুর দুধের পেড়া মিষ্টি,  অযোধ্যা রাম মন্দির প্রসাদ কিংবা রাম মন্দির অযোধ্যা প্রসাদের নাম মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে৷ রামের প্রসাদ পাওয়ার আশায় প্রতারিত হতে হচ্ছে ভক্তদের। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ক্রেতা সুরক্ষা আইনে নোটিস পাঠানো হয়েছে ওই অনলাইন বিপননী সংস্থাকে।

ভোক্তা সুরক্ষা  বা ই-কমার্স আইন ২০২০ অনুসারে, কোনও ই-কমার্স সংস্থা অন্যায্য বাণিজ্য কাজকর্মে লিপ্ত হতে পারবে না। কোনও ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী, গুণমাণ, পরিমাণ বা অন্য যে কোনও বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন করা বা পণ্য বিক্রি করা ক্রেতা সুরক্ষা আইনের পরিপন্থী৷ সাধরণ মানুষকে যাতে ঠকতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − twelve =