কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখলে ক্রমবর্ধমান উত্তাপটা চোখে পড়ে অনায়াসেই। নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরে পায়ে চোট নিয়ে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আঘাত নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মাঝেই আজ নন্দীগ্রামে সভা করতে আসছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই জারি রাজনৈতিক উত্তাপ। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী প্রচারে রাজ্যে পা রাখছেন কৃষক নেতা। যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন তার সবকটিতেই বিজেপি বিরোধী প্রচারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। রাকেশ টিকাইত এর জন্য বেছে নিয়েছেন এবারের নির্বাচনে বাংলার সবথেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামকে।
আজ নন্দীগ্রাম থেকে একটি মহাপঞ্চায়েত তথা জনসভার আয়োজন করা হয়েছে কৃষক সংগঠনের তরফে যেখানে এসে বক্তৃতা দেবেন স্বয়ং রাকেশ টিকাইত। দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে তিনি মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই প্রচার করবেন বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন এদিন কলকাতায় পৌঁছনোর পর তাঁকে স্বাগত জানান। কলকাতা থেকে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করার পর নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন রাকেশ টিকাইত।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করার পর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেখানে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানান তাঁরই প্রাক্তন সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বে নন্দীগ্রাম একুশের ভোটের আগে পায় আলাদা মাত্রা। এছাড়া, শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থেকে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।