কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য মোট ছ’জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ তাঁরা হলেন, সুখেন্দু শেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সামিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বারিক এবং সাকেত গোখেল। এর মধ্যে ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায় তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন। তাঁদের পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হল। বাকি তিনটি মুখ নতুন৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় বাংলা থেকে ৭টি আসন শূন্য হয়েছে। গত ৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে৷ আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন। ১৩ জুলাই মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন৷ সম্ভবত ১১ জুলাই তৃণমূল প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন পেশ করবেন। সেই উপলক্ষে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী রবিবার কিছু দলীয় বিধায়ককে বিধানসভায় ডেকে তাঁদের দিয়ে ফর্মে সই সাবুদ করিয়ে রেখেছেন। তাঁরা হবেন প্রস্তাবক।
উল্লেখ্য, এবার শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেবকে মনোনয়ন দেয়নি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন সমিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ বড়াইক৷ সমিরুল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি এবং সমাজকর্মী। প্রকাশ হলেন আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূলের সভাপতি। এবারে টিকিট দেওয়া হয়েছে আরটিআই কর্মী ও তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেও।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহেই রাজ্যসভায় বাংলার ৭ আসনে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই সাত আসনের মধ্যে ৬টিই তৃণমূলের দখলে। একটি কংগ্রেসের৷ এই ছয় আসনে কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল৷ অবশেষে সোমবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
প্রাথমিক ভাবে জল্পনা ছিল, হয়তো এবার কুণাল ঘোষকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা প্রণব পুত্র অভিজিৎকেও টিকিট দেওয়া নিয়েও জল্পনার পারদ চড়ছিল। তবে তাঁদের দু’জনকেই টিকিট দেওয়া হয়নি৷ বরং নতুন মুখকে সামনে নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে লুইজিনহো ফেলেইরো রাজ্যসভার আসন থেকে পদত্যাগ করার পর সেটিও খালি রয়েছে। সেই আসনের উপনির্বাচনও হবে৷