কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন অনেকটা দেরিতে দফতরে ঢুকেছিলেন তিনি৷ তা নিয়ে উঠেছিল নানা অভিযোগ। গত শনিবার অর্থাৎ ৮ জুলাই সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে দেখা মেলেনি নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার৷ চারিদিক থেকে হিংসার খবর আসতে শুরু করলেও ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর দফতরে আসেন তিনি। অথচ সূত্রের খবর, ভোট গণনার দিন রাত ১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দফতরেই ছিলেন রাজীব৷ ফলাফলের দিন এত রাত পর্যন্ত দফতরে কী করছিলেন নির্বাচন কমিশনার?
সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদে গণনা শেষ না হওয়ায় গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত দফতরেই থেকে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বুধবার আবার আদালতে পঞ্চায়েত সম্পর্কিত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে। তার কাগজপত্র তৈরি করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে মাঝরাত পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। সূত্রের খবর, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার একটু চিন্তাতে ছিলেন। কারণ আদালতে জবাব দিতে হতে পারে তাঁকে৷ সিএপিএফ থাকা সত্ত্বেও ভোটের দিন বা গণনার দিন এত হিংসার ঘটনা কেন ঘটল, হয়তে সেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে কমিশনকে। হাই কোর্টে এই সব প্রশ্নের কী জবাব দেবে কমিশন, সেটা হয়ত দফতরে বসেই গুছিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার মাঝেই নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব সিনহা। তিনি জানান, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপ করেছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশে কাজ হয়েছে। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, নির্দিষ্ট কিছু বুথে বাহিনী দিতে হবে। কেন্দ্রকে দুষে নির্বাচন কমিশনার জানান, ১০ হাজারের বেশি বুথে বাহিনী ছিল না। কারণ কেন্দ্রই এত বাহিনী পাঠায়নি।