কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আর পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে তা টের পাওয়া যাচ্ছে ভালো ভাবেই। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোনো না কোনো প্রান্তে রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারে ছড়াচ্ছে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্বের উত্তাপ। নানা স্তরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এদিন তাকে হাতিয়ার করেই শাসকদলকে আরো একবার তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শহরে একটি প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। কলেজ স্কোয়ার থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত ওই পদ্ম শিবিরের এই ‘শিক্ষা বাঁচাও’ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষের সভা থেকে তিনি বলেন, “আজকে রাজ্যের শিক্ষকরা, শিক্ষাকর্মীরা, শিক্ষামিত্ররা রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা দাবি দাওয়া নিয়ে কার কাছে যাবেন?” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী শিবিরে ছিলেন তখন তাঁর আন্দোলন প্রবণতাকে ঠুকে এদিন রাজীব বাবু আরো বলেন, “যেই তিনি শাসক নেত্রী হয়ে গেলেন, তখনই বামপন্থী স্বৈরাচারী কায়দাতে তিনিও মানুষকে মারতে শুরু করলেন।”
রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কোনো জায়গা নেই বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আজকে যদি কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে যতরকম স্বৈরাচারী পন্থা সম্ভব নেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরো জানিয়েছেন, মমতা সরকারের এই আচরণের জবাব মানুষই ভোট বাক্সের মাধ্যমে দেবেন বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নিজেদের দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পিছন দিকে আদিগঙ্গায় নেমে অভিনব প্রতিবাদ জানান পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষা মিত্ররা। এছাড়া টেট নিয়োগে দুর্নীতি সহ আরো একাধিক বিষয়েই ভোটের আগে শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়েছে।