CAA আতঙ্ক! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘স্বীকৃতি’ চাইলেন রাজ্যের রাজবংশী মুসলিমরা

CAA আতঙ্ক! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘স্বীকৃতি’ চাইলেন রাজ্যের রাজবংশী মুসলিমরা

কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে জারি রাজনৈতিক তরজা। একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যকে হাতিয়ার করে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি, অন্যদিকে তেমনই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও। এমতাবস্থায় শাসকদলকে সমর্থন করার জন্য নতুন শর্তাবলী স্থির করল রাজবংশী মুসলমান সম্প্রদায়।

রাজবংশী মুসলমান সম্প্রদায়ের নাস্যা শেখ উন্নয়ন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমর্থন করবেন। কিন্তু একটি শর্তের বিনিময়েই এটা সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে পশ্চিমবঙ্গে রাজবংশী মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করে দিতে হবে, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন ওই সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকায় প্রকাশ্য সভা থেকে নাস্যা শেখ উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্র শাখার সভাপতি আমিনাল হক বলেছেন, “উত্তরবঙ্গে নাস্যা শেখ সম্প্রদায়ভুক্ত প্রায় ৪২ লক্ষ মানুষ বাস করেন। আমরা আমাদের কথা স্পষ্ট করে জানাতে চাই। যদি রাজ্য সরকার আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করে দেয়, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করব। আর যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা না শোনেন, তবে আমরাও তাঁকে সমর্থন করবো না।”

উল্লেখ্য , দুদিন আগেই উত্তরবঙ্গের নাস্যা শেখ তথা রাজবংশী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের সমর্থন চেয়ে সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। তারপরেই এ ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে ওই সম্প্রদায়। নাস্যা শেখ উন্নয়ন পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি ফরিদ আখতার গাজি এদিন জানান, রাজবংশী মুসলিমদের বাংলার মাটির মানুষ হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে। তাঁর কথায়, “বিজেপি নেতারা বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরী করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আমাদের মনে হয় এখানে এনআরসি-ও হবে। এই দুই আইনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে আমাদের সম্প্রদায়ের অনেকেই চিন্তিত।” এই সূত্রেই বাংলার ‘মাটির মানুষ’ হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি চেয়েছেন তাঁরা। ভোটের আগে এখন রাজ্য সরকার তাঁদের প্রস্তাবে সায় দেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *