কলকাতা: রাজভবনের উপর চলছে নজরদারি! সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রবিবার এই অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের উপর নজরদারি করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা ধ্বংসের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। এক পক্ষ যা বলে অন্য পক্ষ বেশিরভাগ সময়ই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। এই এক বছরে কদিন তারা একমত হয়েছে তা হতে গুণে বলে দেওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের তরফে যেমন রাজ্যপালের বারবার সমালোচনা করা হয়েছে, তেমনই বারবার রাজ্যের বিরোধিতা করেছেন ধনকড়। এর ফল ভুগতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। এই সমস্যায় জাঁতাকলে পিষেছে তারা। এরই মধ্যে নতুন এক অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল। জানালেন যে রাজ্যে অনাচার বা অরাজকতা অমীমাংসিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমি আপনাদের সবাইকে বলতে চাই যে রাজভবনের উপর নজরদারিা চলছে। এটি রাজভবনের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে। আমি এই পবিত্রতা রক্ষার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা চালাব।”
আরও পড়ুন: খরচের বহর কমিয়ে নয়া ‘রোড ম্যাপ’ রাজ্যের, মিলবে সুফল?
স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে রাজভনে গিয়েছিলেম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষ্যাৎও করেন তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবস সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। রাজ্যপাল বিকালে একটা চা-চক্রের আয়োজন করেছেন। কিন্তু তিনি আসতে পারবেন না। তাই সকালে প্যারেডের পরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে যান তিনি। তখন অনেকে ভেবেছিল হয়তো সম্পর্কের বরফ গলেছে। এবার হয়তো রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ভুল ভাঙল সন্ধ্যাতেই।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত হননি। আর তার ফলেই অসন্তুষ্ট হন রাজ্যপাল। এর পর তিনি একটি টুইটও করেন। সেখানে প্রতিক্রিয়া জানান ধনকড়। লেখেন, ‘রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কর্মচারীরা না আসায় অন্য অনেকের মতো আমিও অবাক হয়েছি। আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যে সব স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাদের সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন তাঁদের সম্মান জানাতে আমাদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে ওঠা উচিত। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’