৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল কেন্দ্র, ক্ষোভ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর নরেন্দ্র মোদীর সরকারের। সরকারি কর্মীদের ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (ডিএ) এবং পেনশনভোগীদের ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) ৪ শতাংশ বাড়াল কেন্দ্র। তবে শুক্রবার এই ঘোষণার পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। তাঁদের বকেয়া ডিএ ২১ শতাংশ হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তাই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল আইএনটিইউসি ও বামপন্থী কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এমনকী, বকেয়া ডিএ অবিলম্বে মেটানোর দাবিতে আন্দোলনের ডাকও দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর নরেন্দ্র মোদীর সরকারের। সরকারি কর্মীদের ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (ডিএ) এবং পেনশনভোগীদের ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) ৪ শতাংশ বাড়াল কেন্দ্র। তবে শুক্রবার এই ঘোষণার পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। তাঁদের বকেয়া ডিএ ২১ শতাংশ হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তাই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল আইএনটিইউসি ও বামপন্থী কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এমনকী, বকেয়া ডিএ অবিলম্বে মেটানোর দাবিতে আন্দোলনের ডাকও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই সরকারের তরফে কর্মীদের বেতন ৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় এর ফলে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ কেন্দ্র সরকারের কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। আইএনটিইউসি-র তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'ষষ্ঠ বেতন কমিশনে ৪৮ মাসের মোট বেতন সম্পূর্ণ হাওয়া। অর্থাৎ কোনও বকেয়া দেওয়ার বালাই নেই। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ ছাড়াই নয়া বেতন শুরু হল। ৩ শতাংশ কম বাড়িভাড়া ভাতা ও চিকিৎসা পরিষেবা বাবদ ভাতা না বাড়িয়ে আরও ২০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।' এই তথ্য তুলে ধরে তিনি রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, 'এর মাশুল অবশ্যই সরকারকে আগামি দিনে গুনতে হবে।' অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একই সুর শোনা গেল বামপন্থী কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির কথায়। কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ এদিন বলেছেন, 'ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কোনও দয়ার দান নয়। এটা ন্যায্য ও আইনি অধিকার। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে। সেই অনুসারেই দেশের সব রাজ্য সরকারও মহার্ঘ ভাতা দিয়ে থাকে। সেটা না মেলা মানে ফের প্রমাণিত যে, বাংলার সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চনার শিকার।' এমনকী, কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে ১৬ তারিখ বিক্ষোভের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 19 =