কলকাতা: সোমবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ আজ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷ আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আন্দামানে ঢুকে পড়বে বর্ষা।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আন্দামানে আগেভাগে ঢুকে পড়লেও, কেরলে দেরিতেই ঢুকবে বর্ষা৷ সাধারণত প্রতি বছর পয়লা জুন বর্ষা ঢোকে কেরলে। তবে এই বছর কেরলে বর্ষা ঢুকবে ৪ জুন। অর্থাৎ এ বছর বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন।
তবে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই দিনে গরম থাকবে এবং সেই সঙ্গে রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেদে দমকা ঝোড়ো বইবে৷ চলবে শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাত৷
আজ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায়। কালবৈশাখীর পরিস্থিতি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায়। তবে পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে৷ গরম ও আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>