নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতির ময়দানে অত্যন্ত চেনা কথা হল রাস্তাই রাস্তা দেখায়। তা ফের প্রমাণ করে দিলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের আগে দু’দুবার দেশ জুড়ে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করেছেন রাহুল। সেই কর্মসূচির কিছুটা হলেও সুফল পেয়েছে কংগ্রেস। দেখা গিয়েছিল রাহুলকে ঘিরে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের একাংশের ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা ছিল।
কংগ্রেসের দাবি সেই কারণেই তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে প্রায় একশো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের পথে নামছেন রাহুল। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি জোটের দুরন্ত ফলের পর সেই রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য রাহুল পথে নামবেন। যে কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধন্যবাদ যাত্রা’। ১১ থেকে ১৫ জুন ধরে রাহুলের সেই কর্মসূচি হবে। সেই যাত্রা স্পর্শ করবে উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্র। আর সেই কর্মসূচি থেকে উত্তরপ্রদেশবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় সংবিধানের প্রতিলিপি।
এই ‘ধন্যবাদ যাত্রা’য় পা মেলাবেন রাহুল-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি দলের কর্মী-সমর্থকরা। নিঃসন্দেহে বিষয়টিকে অভিনব আখ্যা দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এভাবে নির্বাচনের পর মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে কোনও রাজনৈতিক দলকে দেখা যায়নি। মনে রাখতে হবে এই নির্বাচনে আসন সংখ্যার নিরিখে কংগ্রেস কিন্তু বিজেপির থেকে বহু পিছিয়ে রয়েছে। বিজেপি যেখানে ২৪০টি আসন পেয়েছে, সেখানে কংগ্রেসের প্রাপ্য আসন হচ্ছে ৯৯। কিন্তু তা সত্ত্বেও কংগ্রেস মনে করছে এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বলে দিয়েছে দেশ জুড়ে কংগ্রেসের নতুন করে উত্থান হতে শুরু করেছে। তাই সেই ‘টেম্পো’ ধরে রাখতেই রাহুলের এই কর্মসূচি।
সবচেয়ে বড় কথা সামনেই হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এই চারটি রাজ্যে কংগ্রেস ভাল ফল করলে জাতীয় রাজনীতির ছবিটা মুহূর্তে বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আরও চাপে পড়ে যাবে। সেই লক্ষ্যেই রাহুলের এই কর্মসূচি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই কর্মসূচির জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেশের মধ্যে বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশ। তাই বেছে বেছে সেখানে রাহুলের এই কর্মসূচির যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর আগামী দিনেও রাহুল বিভিন্ন ইস্যুতে বার বার যে পথে নামবেন তা ধরে নেওয়াই যায়।