rahul gandhi
নয়াদিল্লি: বছর ঘুরতেই লোকসভা ভোট৷ তার আগে জনসংযোগের কাজে কোনও খামতি রাখতে নারাজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ ভারত জোড়ো যাত্রার পরও বিভিন্ন ভাবে জনসংযোগ করে চলেছেন রাহুল গান্ধী৷ বিভিন্ন সময় তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সাধারণের মাঝে৷ দিনকয়েক আগে তাঁকে দেখা গিয়েছিল দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে৷ সেখানে কুলিদের মাঝে বসে শুনেছিলেন তাঁদের সমস্যার কথা। ওই দিন কুলির পোশাকেও দেখা যায় ওয়ানাড়ের সাংসদকে৷ মাথায় যাত্রীর স্যুটকেস নিয়েও কিছুটা পথ হাঁটেন তিনি।এবার ছুতোরের কাজে হাত লাগালেন কংগ্রেস নেতা৷ দিল্লির কীর্তি নগরে আসবাবপত্রের বাজারে গিয়ে ছুতোরদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গান্ধী৷ কংগ্রেসের তরফে সেই ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।
ছুতোরদের সমস্যার কথা জানতেই এদিন আসবাবপত্রের বাজারে গিয়েছিলেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। তাঁদের সমস্যা শোনার পাশাপাশি আসবাব তৈরির কাজেও হাত লাগান। পরে X হ্যান্ডেলে রাহুল লেখেন, ‘‘দিল্লির কীর্তি নগরে এশিয়ার সবথেকে বড় আসবাব বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে কাঠমিস্ত্রি ভাইদের সঙ্গে দেখা করি। তাঁরা শুধু কঠোর পরিশ্রমীই নন, চমৎকার শিল্পীও। স্থায়িত্ব এবং সৌন্দর্য খোদাই বিশেষজ্ঞ।’’
রাহুল আরও বলেন, ‘‘আমরা অনেক কথা বলি, তাঁদের দক্ষতা জানতে পারি এবং কিছুটা শেখার চেষ্টাও করি।’’ সম্প্রতি রাহুলকে দেখা গিয়েছিল ছত্তিশগড়ে জেনারেল কামরায় উঠে ট্রেনে সফর করতে। সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে খোশ গল্প করতেও দেখা যায় তাঁকে৷ সঙ্গে ছিলেন ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, কংগ্রেসের রাজ্য ইনচার্জ কুমারী শৈলজা৷
চলতি বছরের ২৮ জুন দিল্লির করোল বাগে এক বাইক মেকানিকের দোকানে কংগ্রেস সাংসদের বাইক ঠিক করার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এর আগে ২০ এপ্রিল দিল্লির মুখার্জি নগরে গিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ১৮ এপ্রিল তাঁকে দেখা গিয়েছিল পুরানো দিল্লিতে৷ সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে গিয়েছিলেন তিনি। সেদিন বাঙালি মার্কেটে সুস্বাদু খাবারের স্বাদও গ্রহণ করেন সোনিয়া-তনয়৷ চুমুক দেন পুরনো দিল্লির ‘মহব্বত কা শরবত’-এ৷