নয়াদিল্লি: লাদাখ ইস্যুতে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। তবে এবার বেশি কিছু নয়, একটা মাত্র প্রশ্ন করলেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি জানতে চাইলেন, কবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ভূখণ্ড থেকে চীন সেনাকে সরাতে পারবে। এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন রাহুল।
গতকাল ফের একবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করা হয়েছিল। যদিও গতকালের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এমন কিছু মন্তব্য করেননি যা নিয়ে চর্চা করা যায়। সেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন করেছিলেন রাহুল। টুইট করে বলেছিলেন, “প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির উদ্দেশে ভাষণে দয়া করে বলবেন যে, কোন দিন ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চীন সেনাকে আপনি ধার ধাক্কা দিয়ে সরাবেন? ধন্যবাদ”। যদিও, চীন ইস্যুতে কোনো কথাই বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে চুপ করে থাকেনি রাহুল। আবারো কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, বিশ্বের এমন কোনও দেশ নেই যেখানে বিদেশী শক্তি জমি দখল করে রয়েছে। অথচ সেই দেশের সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এটা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার চীন ইস্যুতে হোক কিংবা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছে কংগ্রেস। যদিও কোনও ইস্যুতেই কোনরকম উত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার, বলা ভাল উত্তর দেয়নি। যদিও আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না রাহুল।
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সংঘর্ষের পরে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দুই দেশের। যদিও কোনো রকম রফাসূত্র বেরোইনি এখনও। তবে চীনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আলোচনায় সমাধান সূত্র না বেরোনোয় উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও বলা হয়েছে তারা ‘তৈরি’। সব মিলিয়ে ভারত এবং চীন সম্পর্ক আরো খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আশঙ্কা আরো স্পষ্ট হচ্ছে, কারণ ইতিমধ্যেই ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছে। যদিও সেই সেনাকে পাকড়াও করে ভারতীয় সেনা। প্রোটোকল মেনে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে তার অনেক আগেই ৪৫ বছরে প্রথমবার ভারত এবং চীন সীমান্তে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটে গিয়েছে।