প্রতি হাজারে মাত্র ১ জন কাজ পেয়েছেন! বেকারত্বে মোদীকে তীক্ষ্ণ হুল রাহুলের

দেশের বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে এর আগেও বহুবার কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, 'গত চার মাসে প্রায় ২ কোটি জনের কাজ গিয়েছে। ২ কোটি পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।' পাশাপাশি কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপসিংহ সুরজেওয়ালা উল্লেখ করেছেন, চলতি বছর এপ্রিল-জুলাই মাসে ১.৯ কোটি জন বেকার হয়েছে। জুলাই মাসেই এই সংখ্যা ৫০ লক্ষ। আগস্ট মাস চলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে সব মিলিয়ে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা ১৪ কোটি।

 

নয়াদিল্লি: গত ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে একটি পোর্টাল খুলেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, করোনার জেরে কাজ হারানো পরযায়ী শ্রমিকেরা এখানে আবেদন করতে পারবে এবং নিয়োগকারীরা এখান থেকে দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মীদের বেছে নিতে পারবেন। দেখা গিয়েছিল, এক সপ্তাহেই ৭ লক্ষ শ্রমিক এখানে আবেদন করেছিল। এই পোর্টালে মোট আবেদনকারীর ৬৯ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৬৯১ জন শ্রমিক কাজ পেয়েছে। অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে ১ জন মাত্র শ্রমিকের ভাগ্যে কাজ জুটেছে। এই নিয়ে কংগ্রেস তরফে রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন।

দেশের বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে এর আগেও বহুবার কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, 'গত চার মাসে প্রায় ২ কোটি জনের কাজ গিয়েছে। ২ কোটি পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।' পাশাপাশি কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপসিংহ সুরজেওয়ালা উল্লেখ করেছেন, চলতি বছর এপ্রিল-জুলাই মাসে ১.৯ কোটি জন বেকার হয়েছে। জুলাই মাসেই এই সংখ্যা ৫০ লক্ষ। আগস্ট মাস চলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে সব মিলিয়ে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা ১৪ কোটি। এই নিয়ে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘এটাই প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য! এই সেই 'আচ্ছে দিন' যার কথা নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে জোর গলায় বলেছিলেন।’

বিরোধীরা এর আগেও বহুবার অভিযোগ করেছিলেন, মোদী সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশের অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। কাজের সুযোগ তৈরি তো হচ্ছেই না বরং চাকরি যাচ্ছে সমস্ত ক্ষেত্রে। বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে দেখেও না দেখার ভান করে, রাম মন্দিরের শিলান্যাস, আত্মনির্ভর ভারত কিংবা নতুন শিক্ষা নীতি ইত্যাদি নিয়ে ইভেন্ট সাজাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। বিরোধীদের দাবি, দেশের অর্থনীতির হাল ধরে বেকারত্ব মেটানোর চেষ্টায় ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদী সরকার।

অন্যদিকে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইইয়ের রিপোর্ট বলছে, অগস্ট মাসের ১৭ থেকে ২৩ তারিখে, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে বেকারত্বের হার আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। আগে যা ছিল ৯.১ শতাংশ, বর্তমানে তা নেমেছে ৭.৪৬ শতাংশে। সিএমআইইয়ের দাবি, এটি সম্ভব হয়েছে গ্রামীন বেকারত্বের হার মাত্র সাত দিনে ৮.৮৬ শতাংশ থেকে ৬.৩২ শতাংশে নেমে আসায়। শহরের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা অবশ্য বেড়ে গেছে। বর্তমানে শহরে বেকারত্বের হার ৯.৬১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশে। যদিও বিরোধী শিবির ও বিশেষজ্ঞদের দাবি, দেশের অর্থব্যবস্থার বাস্তব ছবি সাত দিনের হারের ওঠা নামায় ধরা কঠিন। আবেদনকারী এবং নিয়োগের অনুপাতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, সেখান থেকেই দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা স্পষ্ট হয় বলে দাবি বিরোধীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 9 =