তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা PSC-র মাথায়! ‘অসাংবিধানিক’, প্রভাবিত হবে নিয়োগ?

বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের সময়ে কখনওই পিএসসি-র দুর্নীতি নিয়ে চাকরী প্রার্থীদের অভিযোগ করতে হয়নি। সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে সব সময় স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছে বামফ্রন্ট সরকার।

 

কলকাতা: পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পদে রাজনীতি করা নিয়ে অনেক দিন ধরেই জলঘোলা দেখেছে রাজ্য। এবার সেখানে উঠে এল আরও একজনের নাম। ডঃ মৃগাঙ্ক মাহাতো। তৃণমূলের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি তিনি এখন সংবিধান স্বীকৃত পিএসসি-র পদেও সমানভাবে কাজ করে চলেছেন।

২০১৪ সালের পুরুলিয়ার তৃণমূল সাংসদ, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি, সেই থেকে পিএসসি’র সদস্য হিসাবেই মৃগাঙ্ক পরিচিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি দলের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য হিসাবে তৃণমূলে জায়গা করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তিনি তা স্বীকার করে জানান, ‘সবে তো দলে যোগ দিয়েছি, একসঙ্গে কীভাবে দুটো কাজ করব সে বিষয়ে জানতে হবে।’ নির্দেশিকা অনুযায়ী পিএসসি-র মতো সংবিধান স্বীকৃত পদে কোনও ভাবেই রাজনৈতিক কোনও দল এমনকী সরকার পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে এটা সম্পূর্ণ ভাবে সংবিধান বিরোধী একটা কাজ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের একাংশের। 

বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের সময়ে কখনওই পিএসসি-র দুর্নীতি নিয়ে চাকরী প্রার্থীদের অভিযোগ করতে হয়নি। সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে সব সময় স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছে বামফ্রন্ট সরকার। পাবলিক সার্ভিস কমিশন তো তাহলে এখন তৃণমূল সার্ভিস কমিশন হয়ে গেছে।’ আগেও তৃণমূল সরকার বেসরকারি সংস্থা থেকে লোক এনে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসাবে বসিয়েছে, এরকম দেখা গেছে। লোকসভার প্রাক্তন সদস্য হিসাবে পিএসসি-তে যোগ দেওয়ার সময় কোনও প্রকার সমস্যাই হয়নি মৃগাঙ্ক মাহাতো’র।

কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে একই ব্যক্তি কীভাবে এক সঙ্গে শাসক দলের কর্মী এবং সংবিধান স্বীকৃত পদের সদস্য হতে পারে। বিরোধীদের মতে, প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পিএসসি’র ক্ষমতা খর্ব করতে উদ্যোগী। সংবিধান স্বীকৃত পদের প্রার্থী কোনওভাবেই কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন না। এমনকী রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিও এই নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য। সেখানে এই সংবিধান বিরোধী কাজের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করছে বিরোধীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *