কলকাতা: সবচেয়ে দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম৷ কেন্দ্রীয় সরকারের অত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের হাত ধরে বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে দেশ৷ এরই মধ্যে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রের উদ্যোগে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’৷ অথচ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর আজও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে পৌঁছয়নি পরিস্রুত পানীয় জল৷ খোদ কেন্দ্রের রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ব্যর্থতার সেই পরিসংখ্যান।
আরও পড়ুন- কোভিড কি ফের আগের রূপে? ১৪০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেশে
২২ মার্চ, বুধবার ছিল বিশ্ব জল দিবস। তার ঠিক একদিন আগে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দেশে ১১ কোটি ৪৯ লক্ষ বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে। ১ লক্ষ ৫৩ হাজার গ্রামে নলের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে যা সাফল্যের৷ এই রিপোর্ট কার্ডে দেওয়া পরিসংখ্যানকে সাফল্যের নজির হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষে সেই বরাদ্দ বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। এর ফলে প্রচুর স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের জেলায় জেলায় পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে৷
কেন্দ্র তাদের রিপোর্ট কার্ডে সন্তুষ্ট হলেও, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে অশনি সংকেত৷ ওই রিপোর্টে ভারতের শহরাঞ্চলে জলসঙ্কট নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাতে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের ৯৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ জলসঙ্কটে ছিলেন। ২০৫০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৭০ কোটি থেকে ২৪০ কোটিতে। যাঁর অধিকাংশ বাসিন্দাই কিন্তু ভারত, পাকিস্তান এবং চিনের। আর এই তিন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে ভারত৷ পানীয় জল নিয়ে সারা বিশ্বের চিত্রও একেবারেই আশাপ্রদ নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষ এখনও নিরাপদ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। ৪৬ শতাংশ মানুষ এখনও প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুযোগটুকুও পান না। অপরিশ্রুত পানীয়ের মাশুল গুনতে হচ্ছে বহু মানুষকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>