পুরী: ইয়েস ব্যাঙ্কে স্থগিতাদেশ জারির পর থেকেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল আর্থিক দুর্নীতির কথা। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ইয়েস ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুরের বাড়িতে ইডি-র হানার ঘটনায় আমানতকারীদের মনেও প্রশ্ন জাগছে। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে পুরীর জগন্নাথধামও। সূত্রের খবর, ইয়েস ব্যাঙ্কে তাদের ৫৪৫ কোটি টাকা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মন্দির কর্তৃপক্ষ এখন ঘোর সংকটে। কীভাবে চলবে মন্দিরের কাজকর্ম, এই হয়েছে তাদের এখনের ভাবনা। যদিও দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন উড়িষ্যার আইনমন্ত্রী।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই আর্থিক লেনদেন হত জগন্নাথদেবের মন্দির তহবিলের। গত তিনবছর ধরে মন্দিরের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হচ্ছিল বেসরকারি ব্যাঙ্ক ইয়েস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। ইয়েস ব্যাঙ্কের স্থগিতাদেশ শোনার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিল জগন্নাথদেব মন্দির কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা। একপ্রকার অনিশ্চিত মনে করে মন্দির কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও অর্থমন্ত্রীর কাছে দরবার করবে বলে জানিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মন্দিরের প্রশাসনিক বিভাগও। যদিও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপ জেনা আশ্বস্ত করেছেন এই বিষয়ে। তাঁর কথায়, মন্দিরের অর্থের কোনও ক্ষতি হবে না। তাই অযথা দুশ্চিন্তা করারও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক হল ইয়েস ব্যাঙ্ক। স্বাভাবিকভাবেই বড় কিছু আর্থিক জটিলতা তৈরি হলে তা দেশের অর্থনীতির উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে বিশিষ্টমহল। মূলধন সংক্রান্ত সমস্যা ও অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ইয়েস ব্যাঙ্কের অবস্থা সঙ্গীন। এছাড়া অভ্যন্তরীণ একাধিক সমস্যা তো রয়েইছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কটিকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। তবে মাস ছ'য়েক আগে পিএমসি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাঙ্কিং রেগুলেটরের সেই একই পদক্ষেপ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গ্রাহকদের একাংশের কপালে।