কলকাতা: আসানসোলের লোকসভায় সাংসদ এবারের ভোটে টালিগঞ্জ সদরের বিজেপি’র প্রার্থী৷ ব্যান্ডেল থেকে বলিউড পাড়ি দিয়ে সঙ্গীত জগতের উজ্বল নক্ষত্র হয়ে ওঠা বাবুল সুপ্রিয় এখন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ সঙ্গীতের দুনিয়ায় সুপ্রিয় বরাল থেকে বাবুল সুপ্রিয় হয়ে ওঠা সেই তিনিই আসানসোলের দু’বারের সাংসদ৷ তবে এবার বাবুল নেমেছেন বঙ্গ বিধানসভা ভোটের ময়দানে৷ তাঁর লড়াই তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস এবং সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম-এর একমাত্র তারকা প্রার্থী দেবদূত ঘোষের বিরুদ্ধে৷ গত ২৩ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপি’র এই হেভিওেট প্রার্থী৷ সেই সঙ্গে দিয়েছেন হলফনামাও৷ দেখা নেওয়া যাক বাবুল সুপ্রিয়র সম্পত্তির খতিয়ান৷
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক হিংসার জেরে নলকূপের জলে মেশানো হল বিষ, উত্তেজনা মথুরাপুরে
২০১৯-’২০ অর্থ বর্ষে বাবুল সুপ্রিয়র আয় ১৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৪০ টাকা৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বিজেপি’র এই তারকা প্রার্থীর হাতে ছিল ৫১ হাজার টাকা৷ তাঁর স্ত্রী রচনার হাতে ছিল ৩৭ হাজার টাকা৷ একাধিক ব্যাঙ্কে সঞ্চয় রয়েছে বাবুলের৷ এফডি এবং সেভিংস মিলিয়ে তাঁর মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫২৭ টাকা৷ তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ১৫ হাজার ২০০ টাকা৷ এছাড়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ রয়েছে বাবুলের৷ তবে কোনও বিনিয়োগ নেই রচনার নামে৷ এছাড়াও পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সঞ্চয় রয়েছে সুপ্রিয় বরালের৷ রয়েছে জীবন বিমা৷ একাধিক এলআইসি পলিসি রয়েছে তাঁর স্ত্রীর নামেও৷ তবে নেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট৷
আরও পড়ুন- খুনের হুমকি দিচ্ছেন শান্তনু! বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের মেয়ের
হলফনামা অনুযায়ী বিজেপি’র তারকা প্রার্থীর কাছে রয়েছে রয়াল এনফিল্ড বাইক, অডি সহ একাধিক গাড়ি৷ যার বর্তমান মূল্য ৬৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬০৪ টাকা৷ স্ত্রী রচনার কোনও গাড়ি নেই৷ বাবুলের নামে সোনা রয়েছে ২০০ গ্রাম৷ যার বর্তমান দাম ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা৷ অন্যদিকে, বাবুলের স্ত্রীর আছে ৩০০ গ্রাম সোনা৷ যার মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা৷ সব মিলিয়ে দম্পত্তির মোট অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯৬৯ টাকার৷ স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের অকৃষি জমি৷ ফ্ল্যাট রয়েছে হাওড়া, আসানসোল এবং মুম্বইয়ে৷ এর মধ্যে রয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ মালিকানার ফ্ল্যাটও৷ ফ্ল্যাটগুলির মোট দাম ৪ কোটি ৩ লক্ষ টাকা৷ স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে বরাল দম্পতির সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯৬৯ টাকা৷ তাঁর মাথায় ঋণ রয়েছে ৮৬ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৮ টাকার৷ স্ত্রীর নামে ঋণ রয়েছে ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা৷ তাঁর নামে রয়েছে একাধিক ফৌজদারি মামলাও৷