কংগ্রেসের লাগাম ছাড়ুক গান্ধী পরিবার, নয়া দাবি প্রিয়াঙ্কার

কংগ্রেসের স্থায়ী কর্ণধার নির্বাচন নিয়ে অনেকদিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা চলেছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধীও। দাদা রাহুলের সঙ্গে একমত হয়ে প্রিয়াঙ্কাও চান গাঁধী পরিবারের বাইরেই এবার কেউ দলের হাল ধরুক।

 

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের স্থায়ী কর্ণধার নির্বাচন নিয়ে অনেকদিন ধরেই দলের অন্দরে জল্পনা চলেছে৷ এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও৷ দাদা রাহুলের সঙ্গে একমত হয়ে প্রিয়াঙ্কাও চান, গান্ধী পরিবারের বাইরে এবার কেউ দলের হাল ধরুক৷ তাহলে কি রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ব্যর্থ দলের লাগাম ধরতে? উঠছে প্রশ্ন৷

১৯-এর লোকসভা ভোটে হারের দায় নিয়ে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ এরপর পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনে দলের ওউয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও ওই পদে বসানো উচিত হবে না। এখনও পর্যন্ত নতুন কাউকে ওই পদে নির্বাচন করতে পারেনি দল৷ অস্থায়ী ভাবে সোনিয়া গান্ধীকেই শেষ পর্যন্ত আবার হাল ধরতে হয়েছে৷ কিন্তু তারপর এক বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন কাউকে জায়গা দেওয়ার প্রবনতা দেখা যায়নি কংগ্রেসের অন্দরে৷ ইতিমধ্যেই সোনিয়ার পদের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে৷ 

রাহুল গান্ধীকেই পুনরায় সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছে দল৷ কিন্তু আড়ালে থেকে দলকে সাহায্য করলেও সম্মুখে আসতে রাজী হননি রাহুল৷ নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আলাপচারিতা প্রসঙ্গে 'ইন্ডিয়া টুমরো' নামের এক বইয়ে প্রিয়াঙ্কা উল্লেখ করেছেন, তিনি তাঁর দাদা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একমত৷ সেখানে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ইস্তফা পত্রে উল্লেখ না করলেও রাহুল আলাদাভাবে জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের পরিবারের কারুর কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। তাই প্রিয়াঙ্কার মতে, এবার কংগ্রেসকে নিজের পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে।

এদিকে কংগ্রেসের স্থায়ী নেতৃত্বের অভাব নিয়ে সরব হয়েছেন দলের একাধিক নেতা। তাঁদের মতে, নির্দিষ্ট নেতৃত্বের অভাবে দল ক্রমশ দিশাহীন হয়ে পড়ছে। তাই তাঁরা দ্রুত এর সমাধান চেয়ে দাবি করেছেন, হয় রাহুল আবার সভাপতি পদে ফিরে আসুন, আর তা না হলে দ্রুত অন্য কাউকে এই পদে নির্বাচন করা হোক। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবারের বাইরে অন্য কেউ কংগ্রেসের কর্ণধার হলে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। এমনকি প্রিয়াঙ্কা এও বলেছেন, নির্বাচিত হওয়া ব্যক্তি যদি প্রিয়াঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশের বদলে আন্দামানে গিয়ে কাজ করতে বলেন, তাহলেও তাঁর কোনও রকম আপত্তি থাকবে না৷ এ বিষয়ে দলের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করতে দ্রুত অধিবেশনে বসার কথা বলেছেন প্রিয়াঙ্কা। 'ইন্ডিয়া টুমরো' বইতে রাহুল উল্লেখ করেছেন, ১৯ এর কংগ্রেসের হার দলে মতাদর্শ গত হার নয়, বরং এটি ছিল বিজেপির প্রচারযন্ত্রের জয়। প্রিয়াঙ্কা মন্তব্য করেছেন, রাহুল শুধু তাঁর দাদা নয়, একজন ভাল বন্ধুও। প্রিয়াঙ্কার কথায়, তাঁদের দুজনের মধ্যে ফারাক শুধুমাত্র রাহুল আগামী ১৫ বছরের কথা ভেবে রাখেন আগে ভাগেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 15 =