question paper
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রশ্ন ফাঁস দিয়ে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ব্যবহার করা হবে বিশেষ কোড। তাতেই প্রশ্ন ফাঁস রোখা যাবে বলে নিশ্চিত পর্ষদ। অতীতে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিকবার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। তবে আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ করতে শুরু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এমন ব্যবস্থা করেছে যেখানে প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বেরোলেই সেই প্রশ্নপত্র কোন পরীক্ষার্থীর তা জানা যাবে।
বিষয়টি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে তার প্রত্যেকটিতে একটি করে ‘স্বতন্ত্র কোড’ থাকবে। তাই প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে আসলেই বোঝা যাবে সেটি কোন পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছিল। এভাবেই প্রশ্ন ফাঁস রুখতে চাইছে পর্ষদ। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন ,”অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ পরীক্ষা শুরুর পর যাতে ছবি তুলে প্রশ্ন বাইরে বের করতে না পারে, তার জন্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নপত্রের একটি করে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সময় একজন পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নপত্র পাবে সেই প্রশ্নপত্রের ইউনিক কোডটি তার উত্তরপত্রে ও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে লিখে দিতে হবে। এরপর যদি কোনও প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে আসে তখন কোডটি দেখলেই বোঝা যাবে কোন জায়গা থেকে প্রশ্নের ছবি বেরিয়েছে এবং সেই প্রশ্নপত্রটি কার।” শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রে এমন ভাবে কোড দেওয়া থাকবে যাতে কোনও ভাবে সেটি বাইরে আসলেই বোঝা যাবে সেটি কোন জেলার।
এরপর সহজেই সেই প্রশ্নপত্র কোন পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছিল তা নিজস্ব সিস্টেম অনুযায়ী খুঁজে বের করতে পারবে পর্ষদ। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি আরও জানিয়েছেন,”শুধু প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতা নয়, যে কোনও পাতার ছবি তুললেই সিরিয়াল নম্বরের মাধ্যমে বিষয়টি ধরা পড়বে। কোডটা প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতার উপরে থাকার পাশাপাশি প্রতিটি পাতায় এমবেডেড থাকবে। তাই যে কোনও পাতার ছবি তুলুক বা যে অ্যাঙ্গেলেই তুলুক, আমরা ঠিক বের করে নেব প্রশ্নপত্রটি কার।” এভাবেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চব্বিশের মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন করছে পর্ষদ। পরীক্ষার প্রস্তুতি দেখতে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় পরিদর্শন শুরু করেছেন পর্ষদ সভাপতি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গোটা ব্যবস্থাটি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের কোড লিখিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট ইনভিজিলেটরের উপর। উল্লেখ্য এবার ১২ লক্ষ পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে, যা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অতীতে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পর্ষদকে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। তাই এবার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পর্ষদ। আর তাতেই পর্ষদ আশাবাদী যে সবদিক থেকে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।