কলকাতা: এক সময় তৃণমূলের অন্দরেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁর উপর আস্থা রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ এক সময় আত্মবিশ্বাসী পিকে টুইট করে বলেছিলেন, তিন সংখ্যায় পৌঁছতে পারবে না বিজেপি। তৃণমূল ভালো ফল না করলে নিজের জায়গা ছেড়ে দেবেন৷ তাঁর সেই ভবিষ্যৎবাণী যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল৷ ১০০ ছুঁতে পারল না বিজেপি৷ অন্যদিকে ২০৮টি আসনে এগিয়ে গেল তৃণমূল৷ ভোটের এই ফলের পর বলা যেতেই পারে, তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কুশীলব এই পিকে৷
আরও পড়ুন- জামুরিয়ায় পরাজিত ঐশী, জয়ের হাসি মনোজের
ট্রেন্ড যা বলছে, তাতে হ্যাট্রিক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর জয়ের একেবারে দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ফলাফল এক তরফা হলেও লড়াই কঠিন ছিল৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘মোদীর জনপ্রিয়তা রয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, সব ভোটে জিতবে বিজেপি৷ সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে পক্ষপাত দুষ্ট বলেও তোপ দাগেন তিনি৷ তাঁর কথায়, আমাদের প্রচার চালানোটাই মুশকিল ছিল৷ কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম৷ এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেও ডিসেম্বর মাসের সেই টুইট তুলে আনেন পিকে৷
ডিসেম্বর মাসে টুইটের সঙ্গে পিকে লিখেছিলেন, ফল ঘোষার দিন এই টুইটের কথা মনে রাখবেন৷ আজ নিজেই পুরনো টুইট উস্কে দেন তিনি৷ এর আগে বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন পিকে৷ কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে মত পার্থক্যের জেরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে৷ এর পরেই ২০২১-এ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূলকে জেতানোর ভার হাতে তুলে নেন প্রশান্ত কিশোরা৷ ২০১৯ এ বিজেপি ভালো ফল করেছিল বাংলায়৷ তার উপর ভিত্তি করেই এবার বাংলার ক্ষমতা দখলে ঝাপিয়েছিল গেরুয়া ব্রিগেড৷