কাকদ্বীপ: দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভোট হচ্ছে চারটি আসনে৷ এর মধ্যে রয়েছে কাকদ্বীপ৷ এই কেন্দ্রে গেরুয়া বসন পরা পোলিং এজেন্টকে নিয়ে বাধল অশান্তি৷ গেরুয়া বসন পরার জন্য তাকে আটকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ! কাঠগড়ায় শুভেন্দু
কাকদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডের কাছে রথতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে গেরুয়া জামা পরে পৌঁছন এক পোলিং এজেন্ট৷ এর পরেই তৃণমূলের অভিযোগ, গেরুয়া রংয়ের পোশাক পরে থাকা যাবে না৷ পাশাপাশি এখানকার প্রিসাইডিং অফিসারও ওই এজেন্টকে পোশাক বদলে নিতে বলেন৷ অন্যদিকে, ওই পোলিং এজেন্টের বক্তব্য, এটা কোনও দলের রং নয়৷ এটা সাধারণ একটা জামা৷ আমি গেরুয়া রংয়ের পোশাকই পরি৷ এই অভিযোগ মানতে পারছি না৷ অথচ তিনি বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর জানার পোলিং এজেন্ট৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনী বলছে বিজেপি’কে ভোট দিন! বিস্ফোরক অভিযোগে অশান্ত খড়গপুর সদর
এদিন ওই পোলিং এজেন্টের পোশাক নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন তৃণমূলের এজেন্টও৷ প্রসঙ্গত কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রথতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও ওই পোলিং এজেন্টের সঙ্গে কথা বলছেন৷ এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, আইন বলছে ভোটের দিন যে কোনও ধরনের পোশাক পরা যায়৷ আদর্শ আচরণবিধিতে এমন কথা বলে নেই যে তৃণমূল করি বলে সবুজ পরতে পারব না৷ বা বিজেপি করি বলে গেরুয়া পরা যাবে না৷ প্রিসাইডিং অফিসার যেটা বলছেন, সেটা ভুল৷ এজেন্টরাও ভুল কথা বলছেন৷ এখানে পোশাক কোনও বাধা নয়৷