কলকাতা: প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই ছোট লাল বাড়ি দখলে উদ্যোগ নিচ্ছে বিজেপি। রাজ্য সরকার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কলকাতা পুরভোট করার বিষয়ে জানিয়েছে। বিজেপির দাবি, শুধু কলকাতা কেন, রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলির নির্বাচন হোক। তবে যাই হোক, কলকাতা পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। যদিও বিজেপি নেতারা মুখে বলছেন, কলকাতা পুর নির্বাচনের প্রচারেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই তাদের মুখ, কিন্তু প্রস্তুত হচ্ছেন – শোভন চট্টোপাধ্যায় বনাম ফিরহাদ (ববি) হাকিমের লড়াইয়ের জন্য।
মাঝে বিজেপিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান কিছুটা প্রশ্ন চিহ্নের সামনে ছিল। তবে এখন তিনি রাজ্য কমিটির সদস্য। প্রকৃত সত্য হল, শোভন বিজেপি ছাড়েন নি। বিজেপি ইতিমধ্যেই ৫৭ জনের কমিটি বানিয়ে পুরভোটের প্রার্থী বাছাই করছে। শোভন যে পদ্ম ফুল প্রতীকে মেয়র পদের জন্যই লড়াই করবে সেই সম্ভাবনা যে উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেক বিজেপি নেতাই।
শোভন চট্টোপাধ্যায় যা চেয়েছিলেন তা পেয়েছেন। রাজ্য বিজেপি তাকে যোগ্য সম্মান দিয়ে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শোভন। এই পরিস্থিতিতে আর পিছিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই শোভনের। বিজেপির রাজ্য কমিটির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ওই তালিকায় ১১০ জনের মধ্যে একজন শোভন। আবার দলকে পাল্টা কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। হাতেগোনা কয়েকমাস পরই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পুর নির্বাচনে শোভন কিছু ফিরিয়ে দেবেন। বিজেপি সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।
যৌবন থেকেই কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর তিনি। মেয়র পারিষদ এবং পরে মেয়র। পুর এলাকা কে তিনি হাতের মতোই চেনেন। শোভনের থেকে ভাল মেয়র পদপ্রার্থী পুরসভা ভোটে বিজেপির হাতের কাছে নেই। এই মুহূর্তে পুরসভায় বিজেপির ৩ জন কাউন্সিলর। সিনিয়ার নেতৃত্বদের মধ্যে রয়েছেন মিনা দেবী পুরোহিত। কিন্তু, অবাঙালি একজন মেয়রকে কলকাতা পুরসভা এলাকার মানুষ দেখতে চাইবেন কি না তা পার্টি নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থেকে যোগ্য প্রার্থী খুঁজতে পার্টির সময় লাগবে। লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান বলছে তৃণমূল কংগ্রেসকে পুরভোটে ভালোরকম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে বিজেপি।