NIA-র হাতে গ্রেফতার ছত্রধরের রাজনৈতিক ইতিহাস কী? দেখুন এক ঝলকে

একসময় বিজেপি থেকেও ডাক এসেছিল ছত্রধর মাহাতোর কাছে

জঙ্গলমহল: জন্মসূত্রে আদিবাসী নন তিনি, কিন্তু আদিবাসী নেতা হিসেবেই ছিল তাঁর পরিচিতি। তিনি ছিলেন জঙ্গলমহলের মাওবাদী সমর্থিত পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির আহ্বায়ক। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা সমাপ্ত হতেই ফের গ্রেফতার হয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন। বর্তমানে তৃণমূল সমর্থিত এহেন ছত্রধরের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস কী? আসুন চোখ রাখা যাক তার পাতায়। 

২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে শালবনী বিস্ফোরণ মামলায় নাম জড়িয়েছিল ছত্রধর মাহাতোর। তখনই প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। এরপরই ওঠে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ। ২০০৯ সালে লালগড়ে সিপিআইএম নেতার খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম ওঠে ছত্রধর মাহাতোর। তারপর একে একে ওঠে অনেক অভিযোগই। ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনাসহ মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতোর নামে রয়েছে প্রায় ২৮টি মামলা।

২০০৯ সালে লালগড় থেকেই গ্রেফতার করা হয় ছত্রধর মাহাতোকে। সেই সেপ্টেম্বর মাসের এই গ্রেফতারির পর আবার ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়ে লালগড়ের বাড়িতে ফেরেন তিনি। একাধিক মামলার মধ্যে কয়েকটি এড়াতে পারলেও এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু মামলার তদন্ত চলেছে।

অবশ্য পুলিশের খাতায় নাম থাকলেও বিশেষ বেগ পেতে হয়নি ছত্রধর মাহাতোকে। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ পেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। ওঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।ওঁর নির্দেশ মতোই কাজ করবো।” তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি রাজনীতির আঙিনায় হয়ে ওঠেন আরো পরিচিত নাম। একসময় তাঁকে দলের রাজ্য সম্পাদকও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি হন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

শোনা যায়, একসময় জঙ্গলমহলের এই দাপুটে নেতাকে দলে টানার চেষ্টা করা হয়েছিল বিজেপির তরফেও। এহেন ছত্রধর মাহাতোকে প্রথম দফা নির্বাচনের পর গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে রাজনীতির জল আর কতদূর গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + fifteen =