হরিয়ানা: কৃষক আন্দোলনে চলল পুলিশের বেধরক লাঠির মার, ঝরল একাধিক কৃষকের রক্ত। একাধিক আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করল পুলিশ। এর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ২২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন কৃষকেরা। এই ঘটনায় পুলিশের ভুমিকার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বরা। পাশাপাশি বিজেপির পুলিশদের এই ভুমিকায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল।
কুরুক্ষেত্র জেলার পিপলি চক অঞ্চলে টানা ৪ ঘণ্টা কৃষকেরা আন্দোলন করেন এদিন। ফার্ম অর্ডিন্যান্স বাতিলের মতো কেন্দ্র সরকারের বিরিদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলি। এদিনের বিক্ষোভে তারা স্লোগান তোলেন, ‘কৃষক বাঁচাও মাণ্ডি বাঁচাও!’ করোনার দোহাই দিয়ে এই আন্দোলন কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের নির্দেশে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করা হয় পিপলিতে। জারি করা হয় ১৪৪ নম্বর ধারা। সারাদিন ধরে নাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবুও কয়েক হাজার কৃষক গ্রামের রাস্তা ধরে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে ২২ নম্বর জাতীয় সড়কে উপস্থিত হন। এরপর কৃষকদের আটকানোর জন্যে পুলিশ বিশাল ব্যারিকেড লাগায়। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা সভাস্থলের দিকে এগোতে শুরু করলেই পুলিশের লাঠি জমায়েতের ওপর পড়তে শুরু করে।
লাঠির আঘাতে রক্ত ঝরতে থাকে বহু কৃষকের। এরপর কিছু ক্ষুব্ধ কৃষক পুলিশের দিকে ইট পাথর ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে। গুরুতর আঘাত পায় অনেকেই। জাতীয় সড়ক কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এরপর টানা ৪ ঘণ্টা অবরোধ শুরু করেন কৃষকেরা। অবস্থা খারাপ বুঝে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড নেয়। তখন কৃষকেরা অবরোধ তুলে নিয়ে সভাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
কিষান মাণ্ডি ব্যবস্থা তুলে নিতে এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়ার ঘোষুণা করেছে বিজেপি সরকার। তার প্রতিবাদেই বিকেইউ-সহ একাধিক কৃষক সংগঠন গুলি সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এদিনের সভায় সরকারি জনবিরোধি নীতিগুলির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে হরিয়ানার কিষানসভার একাধিক নেতারা।