কলকাতা: ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে লাগাতার বেড়ে চলেছে ক্ষোভ, তাতে শাসকদল যে খানিক চাপে থাকছে তা বলাই বাহুল্য। দীর্ঘ দিন ধরে এ রাজ্যে বন্ধ রয়েছে নতুন এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়া। এদিন তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য শহরজুড়ে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, এই সরকার বিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচির উপরে নেমে আসে পুলিশি দমন৷
শান্তিপূর্ণ অনশন আন্দোলনের উপর অন্যায় ভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ তুলছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আজ শুক্রবার অনশনে বসেছিলেন নবম-দ্বাদশ স্তরের ওয়েটিং ক্যান্ডিডেটরা৷ ৪৮ ঘণ্টা ধরে এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে দু’দিন আগেও সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠন৷ কিন্তু অভিযোগ, কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাঁধা সৃষ্টি করেছে পুলিশ, অভিযোগ এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের৷
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে , ‘‘আমাদের অনশনকারীদের বলপূর্বক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছিল, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর এভাবে আক্রমণ নামিয়ে আনার অধিকার পুলিশকে কে দিল?” এখানেই শেষ নয়, তাদের আরও প্রশ্ন, ‘‘ফুটপাতে যখন অজস্র মানুষের ভিড়, তখন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কেন অনশনকারীদের উঠিয়ে দেওয়া হবে? বড় জনসমাবেশ করে রাস্তা আটকে রাখাও হয়নি, তাও কেন এই পদক্ষেপ? ভোটের মুখে পুলিশ কার স্বার্থে এমন অরাজকতা তৈরি করছে পুলিশ?’’
ন্যায্য দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে আজ থেকে আগামী দু’দিনের জন্য তিলোত্তমাকে অনশননগরীতে পরিণত করার হুমকি দিয়েছিলেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। অনশনকালে পুলিশি দমনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর আগে গত লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার হয়ে যাওয়ার পর প্রেসক্লাবের সামনে দীর্ঘ ২৯ দিন অনশনে বসা নবম-দশমের শিক্ষক পদপ্রার্থীদের নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ অনশন মঞ্চে গিয়ে মেধা তালিকায় থাকা অপেক্ষারত প্রার্থীদের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও পূরণ হয়নি৷ অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে শহরজুড়ে চলছে চারকিপ্রার্থীদের অনশন৷