কলকাতা: প্রথম দফা ভোটে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷ ঝরেছে রক্ত৷ চলছে একে অপরকে দোষারোপের পালা৷ এরই মাধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে কেশিয়ারি ও দাঁতন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার৷
আরও পড়ুন- সেতু না করলে একটি ভোটও নয়, গণতান্ত্রিক অধিকার বয়কট করল ছাতনা গ্রাম
এদিন তিনি বলেন, কেশিয়ারি ও দাঁতন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা শাসকদলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন৷ এই এলাকার মধ্য গড়বেতাও রয়েছে৷ এখানে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে৷ উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতারা দিল্লি গিয়েছিলেন৷ তাঁদের দাবি ছিল, পশ্চিমবঙ্গে যেন অবাধ ও স্বাধীন নির্বাচন হয়৷ এতদিন তো এই দাবি আমরা করে এসেছি৷ এই দায়িত্ব তো সরকারের৷ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের এই তৃণমূলী দাবি কতটা অসার, সেটা বোঝা যায় কেশিয়ারী ও দাঁতন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের ভূমিকা দেখেই৷ কী ভাবে তাঁরা শাসক দলের হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন৷ সাধারণ মানুষ ভোট দিলে হিতে বিপরীত হবে বুঝেই এত ভয়৷
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে উদ্বেগের কথা জানাবে বলেও জানান জয়প্রকাশবাবু৷ এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, কয়েকটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতার অভাব রয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারীর ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে হতাশার পরিচয়৷ তৃণমূলের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা যেন কোথাও মেনে নিচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় এসে গিয়েছে৷ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি জনসভায় বলছেন, বিজেপি’কে বিদায় দাও৷ বিজেপি তো এখনও ক্ষমতাতেই আসেনি, তাহলে তাঁকে বিদায় দেবে কী করে? আবার বলছেন, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়৷ এর থেকে বোঝা যাচ্ছে উনি মানসিক ভাবে মেনে নিয়েছেন বিজেপি’ই এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে৷
আরও পড়ুন- ‘গুলি করে দেব’, BJP নেতাকে ‘হুমকি’ পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থীর
অন্যদিকে আজ একটি দাবি উঠেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং নাকি নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন৷ এর জবাবে প্রলয় বলেছেন, আমি যখন যে পার্টি করি নিষ্ঠার সঙ্গে করি৷ তাই আপনার কথা রাখতে পারব না৷ কিন্তু প্রশ্ন হল কী সেই সাহায্য? জয়প্রকাশবাবু বলেন, উনি সকলকে মীরজাফর বলেন৷ উনিই তো মীরজাফর তৈরির পথ দেখাচ্ছেন৷ এটা রাজনীতির কলঙ্কময় অধ্যায়৷