পুজোয় স্ট্রিটফুড খাচ্ছেন? সাবধান! রাস্তার চাউমিন-বিরিয়ানিতে মিশছে ঘর রঙের রাসায়নিক

পুজোয় স্ট্রিটফুড খাচ্ছেন? সাবধান! রাস্তার চাউমিন-বিরিয়ানিতে মিশছে ঘর রঙের রাসায়নিক

013d77e564ab27ae434fbda99ee94b94

কলকাতা: আজ মহাসপ্তমী৷ নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো৷ আর বাঙালির কাছে পুজো মানেই ঠাকুর দেখার সঙ্গে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া৷ যাঁরা সারা বছর ডায়েট মেনে চলেন, তাঁরাও বছরের এই চারটে দিন বাঁধন ছাড়া৷ প্যান্ডেল হপিংয়ের ফাঁকে চলে পেট পুজো৷ এক্ষেত্রে অধিকাংশ বাঙালিরই পছন্দ স্ট্রিট ফুড৷ তা সে ফুচকা-ঘুঘনিই হোক, কিংবা রোল-চাউমিন-ফিশ ফ্রাই অথবা বিরিয়ানি। স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি এই সময় বহু মানুষ রাস্তায় ধারে খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন৷ প্রতিটা স্টলের সামনেই দেখা যায় বিস্তর ভিড়। কিন্তু এর মধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর যে খবর জানিয়েছে, তাতে অনেকেরেই চক্ষু চড়কগাছ। রাস্তার খাবারে মিলেছে ঘর রঙ করার রাসায়নিক। এই বিষ শরীরে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। 

খাদ্য সুরক্ষা অফিসাররা জানিয়েছেন, কিছু খাবারে বাড়ি রং করার রাসায়নিক ‘মেটানিল’ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। খাবার তৈরিতে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না। রাস্তার পাশে খাবারের দোকানে বিরিয়ানি, চাউমিন বা ওই জাতীয় খাবারে যে ফুড কালার ব্যবহার করা হচ্ছে তাও বেশ ক্ষতিকর। রাস্তার পাশে সস্তার খাবারে এমন রাসায়নিক মিশানো হচ্ছে যা ভবিষ্যতে বড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এর আগেও বেশ কয়েকবার কলকাতার স্ট্রিট ফুড পরীক্ষা চালিয়ে করে দেখা গিয়েছে যে, রঙিন খাবারে বহু ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশছে। কম দামি বিরিয়ানি গ্রাহকদের চোখে আকর্ষণীয় করে তুলতে মেটানিল ইয়েলো ব্যবহার করা হয়। এই রং আদতে কারখানায় জামাকাপড় রঙিন করে তুলতে ব্যবহৃত হয়৷  সেই বিষাক্ত রঙ শরীরে গেলে ক্যানসার হতে পারে। বিরিয়ানির পাশাপাশি জিলিপি, অমৃতি জাতীয় মিষ্টিতেও ব্যবহার করা হয় এহেন রাসায়নিক৷ 

বিশেষজ্ঞদের দাবি, রঙের পাউডারের গায়ে স্পষ্টভাবেই লেখা রয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল’। তারপরও সই রঙ খাবারে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে দোকান মালিকরা বলছেন, এ বিষয়ে নাকি তাঁদের কোনও ধারণাই ছিল না! মূলত ফ্যাসাই (এফএসএসআই) সার্টিফিকেট না থাকা একাধিক খাবারের স্টলের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এদিকগুলি খতিয়ে দেখার পরই ডাক্তারদের পরামর্শ, পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বুঝেশুনে রাস্তার খাবার খান। লোভে পড়ে যেখানে সেখানে খেলে শারীরিক দিক থেকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা মোমো নিয়েও সাবধান করে দিয়েছেন৷ তাঁর জানাচ্ছেন, স্ট্রিটফুডগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক আরও একটি খাবার হল মোমো। চপ-রোল-কাটলেট তেলে ভাজা বলে অনেকেই সেদ্ধ খাবারের দিকে ঝোঁকেন৷ ভাজাভুজির তুলনায় কম ক্ষতিকর, এই ধারণা থেকেও অনেকে মোমো প্রেফার করেন৷ কিন্তু স্ট্রিটফুডের স্টলে কম দামে মোমো দেওয়ার জন্য তাতে  কম দামি রায়াসয়িক মেশানো হয়, যা কেবল ক্ষতিকারকই নয়, লিভারের জন্যেও বিষাক্তও৷ তাই যে কোনও স্ট্রিট ফুড মুখে তোলার আগে সাবধান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *