নয়াদিল্লি: বিগত কিছু মাস ধরেই দেশের কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করে আসছে আগামী বছরের শুরুর দিকেই ভারতে চলে আসবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন। সম্প্রতি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত পেয়ে যাবে তার প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।
কিন্তু গোটা দেশে এই ভ্যাকসিন তৈরি এবং বন্টন সংক্রান্ত পরিকল্পনার কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছিল না কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। অবশেষে দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিন বন্টনের কৌশল নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর সেই বৈঠক হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও থাকবেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
কিছু এর আগেই দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের প্রথম অধ্যায়ের মধ্যেই ভারত পাবে তার প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন যা দেশের ২৫ কোটি মানুষের কাছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু গোটা দেশে ভ্যাকসিন বন্টন কিভাবে সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়নি। এমনকি বন্টন সংক্রান্ত পরিকল্পনার কোন তথ্যই প্রকাশ করতে রাজি হচ্ছিল না কেন্দ্রীয় সরকার। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরটিআই করা হলে তার উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, এই বিষয়টি আরটিআই আওতাভুক্ত নয়। সব মিলিয়ে বিরোধীদের অসন্তোষ বাড়ছিল কেন্দ্রের প্রতি। তবে অবশেষে জানা গিয়েছে এই সংক্রান্ত বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
ইতিমধ্যেই সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মী এবং প্রবীনদের জন্য এসে যাবে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন। এর জন্য সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তাদের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, সমস্ত ভারতীয়কে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দিতে অন্তত ৩ বছর সময় লাগবে; সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে নয়, বাজেট, পরিকাঠামোর উপরও ভ্যাকসিন সরবরাহ নির্ভর করছে।