pm modi
নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘মানি হেইস্ট’-এর প্রসঙ্গ তুলে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে হাত শিবিরকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর কটাক্ষ,”ভারতে মানি হেইস্টের দরকার নেই। কারণ এখানে কংগ্রেস লুটপাট করে চলেছে।” ঘটনা হল নেটফ্লিক্সের বিখ্যাত ‘মানি হেইস্ট’ সিরিজের অনুকরণে কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছে বিজেপি। সেই ভিডিও শেয়ার করেই কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন মোদী। (pm modi)
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডলে মোদী লেখেন, “মানি হেইস্টের মতো কোনও কাল্পনিক ঘটনার প্রয়োজন নেই এ দেশে। কারণ এখানে কংগ্রেস রয়েছে, যারা সত্তর বছর ধরে লুট চালিয়ে আসছে, এবং আগামী দিনেও সেটাই করে যাবে।” উল্লেখ্য কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর রাঁচির বাড়ি এবং ওড়িশায় থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এক সপ্তাহ ধরে ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। যত দিন গড়িয়েছে ততই উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত শনিবারও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন,”দেশবাসী সব দেখতে পাচ্ছে। ওদের নেতারা নাকি সততার কথা বলেন! মানুষের থেকে যে প্রতিটি পয়সা লুট করা হয়েছে, তা দেশবাসীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি।” এরপর উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে ৩৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে ‘মানি হেইস্ট’-এর প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে ফের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে এই ঘটনার দায় নিতে হবে সাংসদ ধীরাজ সাহুকেই। এর দায় দল নেবে না।
এদিকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে চলেছে বিজেপি। এই ইস্যুতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে সোমবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গেরুয়া সাংসদরা। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে বলেছেন, “তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার হচ্ছে বলে ওরা (কংগ্রেস) প্রশ্ন তোলে। আসলে ওদের মনে ভয় আছে। কারণ তদন্ত হলেই দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে যাবে। তাই এমন প্রশ্ন তোলে।” তিনটি রাজ্যে হারের পর দলের সাংসদের বাড়ি থেকে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আরও অস্বস্তি বেড়েছে কংগ্রেসের। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা যে একেবারেই কাম্য ছিল না তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই আবহের মধ্যে এবার কংগ্রেসের দিকে ধেয়ে এল প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ।