ISRO-র রকেটের গায়ে চিনের পতাকা, সামনে মোদী! ডিএমকে-কে তুলোধোনা বিজেপি’র

ISRO-র রকেটের গায়ে চিনের পতাকা, সামনে মোদী! ডিএমকে-কে তুলোধোনা বিজেপি’র

dmk

কলকাতা:  মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে ইসরো। সাফল্যের তরী এগিয়ে চলেছে তড়তড়িয়ে৷ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে সূর্যের দরবারে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের মহাকাশযান৷ যা সাড়া জাগিয়েছে গোটা বিশ্বে৷ কিন্তু, সেই ইসরোর বিজ্ঞাপন ঘিরেই বিপত্তি! ভারত নয়, বরং ইসরোর মহাকাশযানে দেখা গেল পড়শি দেশের পতাকা! তা-ও আবার কিনা চিনের! যার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এককথায় সাপে-নেউলে। ইসরোর বিজ্ঞাপনে তামিলনাড়ু সরকারের মস্ত এই ভুল ধরতে পেরেই তুলোধনা করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এক্স হ্যান্ডেলে ডিএমকে সরকারকে কড়া ভাষয় বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই৷

তামিলনাড়ুর কুলসেকরপট্টিনমে একটি নতুন মহাকাশ বন্দর তৈরি করেছে ইসরো। ওই বন্দরের উদ্বোধন করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ নয়া মহাকাশ বন্দরের প্রচার এবং উদ্‌যাপনের জন্য তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের মৎস্য দফতর একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই মহাকাশ বন্দর গঠনে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের কৃতিত্বকে তুলে ধরা৷ বিজ্ঞাপনটি জারি করেছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অনিতা রাধাকৃষ্ণান। যা বহুল প্রচলিত স্থানীয় দু’টি পত্রিকায় ছাপা হয়। এই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই উঠল বিতর্কের ঝড়৷ কারণ ওই বিজ্ঞাপনে ইসরোর রকেটের গায়ে ভারত নয়, দেখা যায় চিনের পতাকা৷ ডিএমকে’র এই কাণ্ড দেখে তীব্র আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রীও৷ 

তামিলনাড়ুর এক জনসভা থেকে এই নিয়ে সুর চড়ান নমো৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা কারও অজানা নয় যে, ডিএমকে আমাদের সব প্রকল্পকেই নিজেদের প্রকল্প বলে দাবি করে। কেন্দ্রের প্রকল্পের বিজ্ঞাপনের উপর নিজেদের স্টিকার সেঁটে দেওয়াটাই ওদের কাজ। কিন্তু, এবার লজ্জা-শরমের সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। তামিলনাড়ুতে ইসরোর লঞ্চপ্যাডের কৃতিত্ব নিতে গিয়ে তাতে চিনের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ডিএমকের নেতারা অন্ধ হয়ে গিয়েছেন৷ তাই ভারতের অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না। মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি তাঁদের চোখে ধরা পড়ছে না৷ আপনাদের করের টাকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। অথচ সেখানে ভারতের পতাকাই রাখছে না৷’’

শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, ডিএমকে-কে তুলোধোনা করেছেন বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাইও৷ এক্স হ্যান্ডেলে এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করে তিনি লেখেন, বিজ্ঞাপনটি ‘ভারতের সার্বভৌমত্বকে অপমান করেছে’। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিজ্ঞাপন থেকে এটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে যে, ডিএমকে চিনের প্রতি কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ওরা দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। ইসরো যে দিন থেকে দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাডের কথা ঘোষণা করেছে, সে দিন থেকেই ডিএমকে তৎপর। অতীতের ত্রুটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’’
কী সেই ভুল? অন্নামালাই বলেন, ‘‘প্রথম লঞ্চিং প্যাডের জন্যে তামিলনাড়ুকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের অপদার্থতা দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর মুখ পুড়িয়েছিল। সেই ডিএমকে এখনও একই আছে। বরং অতীতের চেয়েও  খারাপ হয়েছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 15 =