নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার জনগণের উদ্দেশ্যে জনতা কারফিউ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে তার চেয়েও বড় 'কারফিউ' জারি হতে চলেছে গোটা দেশে। করোনার সংক্রমণ রুখতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসাধারণের সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করেন। এমনকী, করোনা সংক্রান্ত একটি ছবিরও তিনি প্রশংসা করেছেন।
এই মুহূর্তে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কতটা জরুরি সেই কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু)। সেই কথাই শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন, 'সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শুধুমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বলেই মনে করেন অনেকে। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সবার জন্যই দরকার। এমনকী, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রয়োজনীয়।' তিনি সতর্ক করে বলেন, 'এই ধরনের ভুল ধারণা আমাদের মধ্যে থাকলে ভারতকে অনেক খেসারত দিতে হবে। কতটা মূল্য চোকাতে হবে, তার কোনও ধারণা নেই।' সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর চোখে পড়া একটি ছবিও শেয়ার করেছেন জনগণের উদ্দেশ্যে। ছবিটিতে করোনা-র পুরো কথার আদলে লেখা ছিল 'কোই' (ক) 'রোড পর' (রো) 'না জায়ে' (না)। এই বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের কথাই বলতে চেয়েছেন। এই কারণেই মঙ্গলবার রাত ১২টার পর গোটা রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী করোনা রোখার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের লোকের কাছে আমি কিছু সপ্তাহ চাইছি। কিছু সময়।' প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে গত রবিবারেই জনতা কারফিউ জারি হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘এ হল জনতা কারফিউ। জনতার জন্য জনতার জারি করা যে কারফিউ।' পুলিশ, দমকল, স্বাস্থ্য, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষ ছাড়া জনসাধারণ যেন পাড়ার মোড়ে আড্ডাতেও না যান।