নয়াদিল্লি: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় যুব দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিবেকানন্দের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর দর্শন ও আদর্শ আরও একবার দেশের যুব সমাজের কাছে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। দিয়েছেন পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির খোঁচা৷
মঙ্গলবার সকালে ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘আজ বিবেকানন্দ জয়ন্তীতে আমরা এই মহান বীর সাধকের প্রগতিশীল ও শক্তিশালী চিন্তাধারা এবং আদর্শকে গোটা যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেব।” এদিন ভারতের সংসদ ভবনে জাতীয় যুব উৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়েও এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেন নমো। তিনি বলেন, “আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেশের যুব সমাজকে যে বার্তা দিয়ে গিয়েছেন স্বামীজি, তা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলায় স্বামীজির বার্তা আমাদের এগিয়ে চলতে সাহায্য করেছে।”
বিপদে ভয় না পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করার বিষয়ে বিবেকানন্দের চিরন্তন বাণী বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেনে এনেছেন ২০০১ সালের গুজরাট ভূমিকম্পের প্রসঙ্গ। তিনি জানিয়েছেন, “গুজরাটের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর যখন গোটা কচ্ছ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হই। সেই সময়ে গুজরাটের ছারখার অবস্থা দেখে পিছিয়ে না এসে কীভাবে কচ্ছকে তার পুরনো রূপ দেওয়া যায় তা নিয়ে ভেবেছিলাম। আর এখন, কচ্ছ দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। তাই বিপদকে ভয় পেয়ে বসে থাকলে হবে না।”
এদিন দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে নাম না করে কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করেন। তার কথায়, ‘‘শ্রেষ্ঠ ভারত গঠনে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি একটা খুব বড় বাধা। একে একেবারে সমূলে উৎখাত করতে হবে।” তিনি দেশের যুব সমাজকে নিয়ে এদিন বলেন, “দেশের যুবকরাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে। যুব সমাজ পারে না এমন কোনও কাজ নেই। তাই আমি তাদের কাছে অনুরোধ করব স্বামীজির বার্তা যেন তারা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেয়।”