নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে ফের মাথা চারা দিয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অতিমারীর যে ভ্রুকুটি গ্রাস করে রেখেছিল ভারতকে, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর তা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া গিয়েছিল। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল দিন কয়েকের জন্য। কিন্তু ভারতে বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষত পশ্চিমি রাজ্য গুলিতে গত কয়েক দিনে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা। সংকটের জেরে আজ রাজ্য গুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বাড়তে থাকায় একেই অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা। এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু ভ্যাকসিন নিলেই হবে না, সেই সঙ্গে পালন করতে হবে স্বাস্থ্য বিধিও। “দাওয়াই ভি অর কড়াই ভি”, রাজ্য গুলির সঙ্গে বৈঠকে এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর বার্তা। অর্থাৎ, ভ্যাকসিন আছে মানেই যে সমস্ত সতর্কতার পালা চুকিয়ে দিয়ে সাধারণ জীবন কাটানো যাবে, তা নয়। ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে করোনা বিধি পালন না করলে ভ্যাকসিনের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। সংক্রমণও চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
প্রতি রাজ্যে যাতে করোনার জন্য নির্ধারিত দূরত্ব বিধি ও সতর্কতামূলক রীতি পালন করা হয়, সেদিকে নজর দিতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ঐ ব্যাপারে প্রয়োজনে কড়া হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, মহারাষ্ট্র, গুজরাট , মধ্যপ্রদেশের মতো পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ তাতে যারপরনাই উদ্বিগ্ন শোনায় প্রধানমন্ত্রীর গলা। তিনি বলেন, “মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করে জেলায় জেলায় করোনা মোকাবিলার পদক্ষেপ নিতে হবে।” অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য রাজ্য গুলিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন করোনা বিরোধী লড়াইয়ে বিশ্বের মাঝে ভারতের অবস্থানের কথাও ফের স্মরণ করাতে শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “১৩০ কোটি জনগণের এই দেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। আমরা এই নতুন সংকটও জয় করতে পারবো।”