কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৩ জানুয়ারি ঠিক বারোটা পনেরোয় সারা রাজ্য জুড়ে সাইরেন বাজবে৷ সেই সময় সমস্ত বাঙালিকে শঙ্খ বাজাতে বা উলু ধ্বনি দিতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে অবশ্য করোনা যোদ্ধাদের সম্মানে এরকম শাঁখ বাজানো, থালা বাজানোর বিষয়ে অনুরোধে করোনা প্রধানমন্ত্রী৷ এবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, নেতাজীকে সম্মান দেখাতে বাজাতে হবে শাঁখ, দিতে হবে উলুধ্বনি৷
করোনাকালে শাঁখ বাজানো, থালা বাজানোর বিষয় নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজনীতি৷ এবার কার্যত প্রাধানমন্ত্রীর পথে হাঁটলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ নবান্ন থেকে তিনি জানিয়ে দেন, গোটা একবছর ধরে নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালন হবে। সারা বছর ধরে স্কুল কলেজে নেতাজীকে নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে বলে৷ তিনি আরও জানান, নেতাজিকে নিয়ে ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্মও করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেও ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা না করায় কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা যায় এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷
নতুন প্রজন্মের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায় সে নিয়ে তিনি জানান, তাঁর যেসব কবিতার বই আছে, সেখানে সব কিছু লেখা আছে, প্রকৃত নেতা, দেশপ্রমিক কারা তাঁদের তুলে ধরা হবে৷ প্রয়োজন মতো সেই কবিতার বই থেকে কবিতা বেছে নিতে হবে। জানান, নেতাজির নামে তৈরি হবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়৷ পালন হবে দেশনায়ক দিবস৷ স্কুল-কলেজে সরকারি ভাবে তৈরি হবে জয়হিন্দ বাহিনী৷ বাংলা সরকারের টাকায় মনুমেন্ট তৈরি হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু এত কিছু পরিকল্পনা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর এমন থালা বাজানো বা শাঁখ বাজিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে৷