বেহালার ফুচকার প্যান্ডেল থেকে লাগাতাক চুরি যাচ্ছে ফুচকা! হাজার সাবধানবাণীতেও কাজ হচ্ছে না

বেহালার ফুচকার প্যান্ডেল থেকে লাগাতাক চুরি যাচ্ছে ফুচকা! হাজার সাবধানবাণীতেও কাজ হচ্ছে না

phuchka

কলকাতা: ফুচকার নাম শুনলেই জিভে জল আসে বাঙালির৷ তেঁতুল জলে ডোবানো হোক বা দই ফুটকা, এমন লোভনীয় খাবার কার না পছন্দ৷ আর দুর্গাপুজোয় ফুচকা খাবে না, তা আবার হয় নাকি৷ বাঙালির এই লোভনীয় খাবারই এবার থিম হিসেবে বেছে নিয়েছিল শহর কলকাতার অন্যতম বড় পুজো বেহালা নতুন দল! কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে, তাদের প্রিয় খাবার দিয়ে মণ্ডপসজ্জা করলে তা সকলেই নজর কাড়বে! কর্মকর্তাদের চিন্তায় কিছু ভুল ছিল না৷ এবারে পুজোয় অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই ফুটকার প্যান্ডেল৷ তবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে৷ চিন্তাও৷ সপ্তমীর সন্ধ্যা ঘনাবার আগেই মাথায় হাত ‘নতুন দল’ ক্লাবের কর্তাদের৷ কিন্তু কেন?

মহালয়ার পরেই বেহালার এই ক্লাবের মণ্ডপ উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ফুচকা দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছেন শিল্পী অয়ন সাহা৷ মণ্ডপে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত চোখে পড়বে শুধুই ফুচকা। ক্লাবের এক কর্মকর্তা সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১ লাখের বেশি ফুচকা দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে।’ কিন্তু, সপ্তমী পার হওয়ার আগেই মণ্ডপ থেকে প্রায় অর্ধেক ফুচকা উধাও! হ্যাঁ একদমই তাই। সন্দীপন বলেন, ‘ফুচকা কমবেশি সব মানুষই ভালবাসেন। মণ্ডপে ঢুকে হাতের নাগালে ফুচকা পেয়ে অনেকেই আর লোভ সামলাতে পারছেন না। মণ্ডপের গা থেকেই ফুচকা তুলে নিচ্ছেন!’ কেউ কেউ আবার ফুচকা খেয়েও ফেলছেন৷ কেউ কেউ আবার স্মৃতি হিসেবে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন!

আগত দর্শনার্থীদের সাবধান করে ক্লাবের তরফে বারবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, ‘দয়া করে মণ্ডপের ফুচকায় হাত দেবেন না। ওই ফুচকায় কেমিক্যাল আছে। পেট খারাপ হতে পারে। সাবধান…।’ কিন্তু, কে কার কথা শোনে! লাগাতার চুরি হচ্ছে ফুচকা। কাউকে থামানোই যাচ্ছে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − fourteen =