পার্থ, অনুব্রতর পর এবার কালীঘাটের কাকুকে দেখে ‘চোর’ শ্লোগান! হাসপাতালের বাইরে জনতার ভিড়

পার্থ, অনুব্রতর পর এবার কালীঘাটের কাকুকে দেখে ‘চোর’ শ্লোগান! হাসপাতালের বাইরে জনতার ভিড়

পার্থ থেকে অনুব্রত এবার কালীঘাটের কাকু। তাঁকে দেখেও চোর চোর শ্লোগান। ধারা মেনেই যেন এই শ্লোগান রাজনীতি। জোকা ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে দেখেই চোর চোর শ্লোগান শুরু হয়। তাঁকে ঘিরে তখন ইডির আধিকারিকরা। চলল একের পর এক শ্লোগান। শ্লোগানের একটাই কথা – কালীঘাটের কাকু চোর। 

এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করার আগে বাইরে  চোর চোর শ্লোগান ওঠে। শুধু তো পার্থ নন, অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করেও ঠিক একই ভাবে শ্লোগান ওঠে। একই শ্লোগান। চোর চোর.. 

পার্থ-অনুব্রত-কুন্তল-তাপস-কালীঘাটের কাকু- সবাই যেন একই তালিকায় এবার। তবে যাঁরা জেলে নন, তাঁদেরও কিন্তু চোর চোর শ্লোগানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কেয়কদিন আগেই ঝাড়গ্রামে নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে ফেরার সময় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে চলে কুড়মি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ। অভিষেককে লক্ষ্য করে চলে চোর চোর শ্লোগান। 
শুধু তাই নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকেও তৃণমূল নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে চোর চোর শ্লোগান উঠে আসে। একবার নয় একাধিক বার এই শ্লোগান উঠে আসে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই ঘটনা সামনে আসে। 
সুতরাং, চোর চোর শ্লোগান শুধুই কালীঘাটের কাকুর জন্য নয়। বরং, রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ঘিরে জনমতের ফাড়াক পরলেই শ্লোগান সেই জায়গা নেয়। 
আজ স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সুজয়কৃষ্ণ বেরোতেই তাঁকে ঘিরে শ্লোগান শুরু হয়। ব্যাঙ্কশাল আদালতের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সুজয় কৃষ্ণকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  ধৃতদের মোবাইল ফোন থেকে কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে জানতে পারে ইডি। তারপরেই তল্লাশি। বরং, ইডির সুজয়কৃষ্ণকে টানা ১১ ঘণ্টা জেরার মাঝে ভাঙতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি, সুজয়কৃষ্ণের মোবাইল থেকেও সেরকম কোনও সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়নি। আপাতত চোর চোর শ্লোগান ঝেলে সুজয় কৃষ্ণ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের অপেক্ষায়। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + three =