মাস্ক বা গ্লাভস নয়, করোনার কোপে গাঁজা কিনতে লম্বা লাইন জনতার

বাজারের দিকে চোখ গেলে দেখা যাবে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। প্রায় সর্বত্রই বিক্ষিপ্তভাবে জটলা নজরে আসবে। করোনার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে হতেই পারে, মাস্ক বা গ্লাভস কেনার লাইন। কিন্তু আদৌ সেই কারণে নয়। বরং চারপাশের জটলা বা সারি দিয়ে অপেক্ষা করার কারণ হল গাঁজা। নেদারল্যান্ডে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। করোনার সতর্কতা নিয়ে তাঁরা যতটা না চিন্তিত, তার চেয়েও বেশি ভাবনা নেশার জিনিস নিয়ে।

নেদারল্যান্ড:  বাজারের দিকে চোখ গেলে দেখা যাবে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। প্রায় সর্বত্রই বিক্ষিপ্তভাবে জটলা নজরে আসবে। করোনার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে হতেই পারে, মাস্ক বা গ্লাভস কেনার লাইন। কিন্তু আদৌ সেই কারণে নয়। বরং চারপাশের জটলা বা সারি দিয়ে অপেক্ষা করার কারণ হল গাঁজা। নেদারল্যান্ডে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। করোনার সতর্কতা নিয়ে তাঁরা যতটা না চিন্তিত, তার চেয়েও বেশি ভাবনা নেশার জিনিস নিয়ে।

করোনার আতঙ্কে বিশ্ববাসী। স্কুল, কলেজের পাশাপাশি বন্ধ শপিং মল, সুইমিং পুলের মতো জায়গাও। অফিস কাছারিতে উপস্থিতির সংখ্যা হাতে গোনা। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। পৃথিবীর সর্বত্রই যেন এই করুণ পরিস্থিতি। জারি হয়েছে সতর্কতা। নেদারল্যান্ডও ব্যতিক্রম নয়। সেই দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল, কলেজও। তবে সেই সব নিয়ে নেদারল্যান্ডের মানুষের যেন কোনও হেলদোলও নেই। সরকারের তরফে এদিন দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে গাঁজা কেনার তোড়জোড়। স্থানীয় এক ক্রেতার কথায়, 'মনে হয় মাস দু'য়েক ঘরেই কাটাতে হবে। দোকানপাটও খোলা থাকবে না। আমার এক বন্ধু কিছুক্ষণ আগেই জানাল। তাই সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।' প্রসঙ্গত, নেদারল্যান্ডে চিকিৎসকরা রোগীদের প্রেসক্রাইব করতে পারেন গাঁজা। এটা সম্পূর্ণ বৈধ। স্বাভাবিকভাবে সংক্রমণের ভয়ে দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি দশা ঘোচাতেই তাঁদের এই পদক্ষেপ।