কলকাতা: বিনোদন জগতের সঙ্গে রাজনীতির যোগ এর আগেও একাধিক বার দেখেছে জনতা। বলিউডের ধর্মেন্দ্র, হেমামালিনী থেকে জয়া বচ্চন কিংবা টলিউডে দেবশ্রী রায়, রূপা গাঙ্গুলী থেকে হাল আমলের দেব, রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন অনেকেই। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলিউডের সঙ্গে রাজনীতির যে যোগ দেখছে বাংলা, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন।
ভোটের আগে টলিউডকে নিয়ে যেন কার্যত দড়ি টানাটানি খেলা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। আর এই খেলায় শাসকদল তৃণমূল হোক বা বিরোধী বিজেপি, পিছিয়ে নেই কেউই। গতকাল টলিউডের একাধিক পরিচিত মুখকে দলে টেনে চমক লাগিয়ে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির, এদিন তারই পাল্টা হিসেবে গেরুয়া দলে নাম লেখালেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল সরকার। আর রাজনীতিতে পা রেখেই ভক্তদের উদ্দেশ্যে সোশাল মিডিয়ায় দিলেন বার্তাও।
বৃহস্পতিবার হেস্টিংসের বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে স্বয়ং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পদ্ম পতাকা নেন পায়েল। তারপর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন “নতুন শুরু”। তবে কি অভিনয় জগতকে এবার বিদায় জানাতে চলেছেন বছর সাঁইত্রিশের লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী? স্পষ্ট না জানালেও বিনোদন ক্ষেত্রে তাঁর ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
অভিনেত্রী পায়েল সরকার ২০০৪ সালে প্রথম টলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সুদেষ্ণা রায়ের পরিচালনায় ‘শুধু তুমি’ ছবিতে। প্রসেনজিৎ অভিনীত এই ছবিতে একটি ছোটো ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর টলিউডে তাঁর বড় ব্রেকথ্রু ২০০৭-এর ‘আই লভ ইউ’। অভিনেতা দেবের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে এই ছবি থেকেই ভক্তমহলে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেন তিনি। এরপর ‘ক্রস কানেকশন’, ‘প্রেম আমার’, ‘লে ছক্কা’ থেকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’, বাংলা সিনেমা জগতে পায়েল সরকারের কেরিয়ার গ্রাফ ছিল উর্দ্ধমুখী। তবে সম্প্রতি ভাঁটা পড়েছে তাঁর কাজে। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে কি অভিনয় জগতকেই ভুলতে চাইছেন অভিনেত্রী? উঠছে প্রশ্ন।