কলকাতা: সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের নম্বর নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি দুই বিচারপতি৷ তাই মামলা গেল তৃতীয় বেঞ্চে। আগামী ১৬ অগাস্ট বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য একক বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি৷ বৃহস্পতিবার সবপক্ষের আইনজীবীই মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদন জানান৷
টেট পাশের জন্য সংরক্ষিত প্রার্থীদের ন্যূনতম প্রাপ্ত নম্বর ৫৫ শতাংশ। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় ৮২.৫ পেলে ৫৫ শতাংশের কোটা পূরণ হয়। কিন্তু, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা যদি ৮২ নম্বর পেয়ে থাকেন, তাহলেই তাঁদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলে হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। সেক্ষেত্রে কিন্তু, উল্লিখিত নিয়ম অনুযায়ী ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবে তা শতাংশের বিচারে ৫৫.৩৪ হত। সে ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের নিয়মও যথাযথ হত৷
পাশ মার্কস নিয়ে এই জটিলতার জেরেই এনসিটিই ৮২ নম্বরকে পাশ হিসাবে ধরার কথা বলা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থী ৮২ পেলে টেট উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করা হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যান কয়েক জন প্রার্থী। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে তাঁরা সহমতে পৌঁছতে পারেননি। বিচারপতি তালুকদার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কেই মান্যতা দেন। কিন্তু বিচারপতি ভট্টাচার্যের মতে, ৮২.৫-পেলেই যদি প্রার্থী পাশ নম্বর (৫৫ শতাংশ) পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়, তবে আধ নম্বর বাড়িয়েই ধরা উচিত। তাঁরা ঐক্যমতে পৌঁছতে না পারায় এবার সেই মামলা গেল তৃতীয় বিচারপতির কাছে৷