কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে পার্থ-অর্পিতার শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাংলো, একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কোম্পানি, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দেখে স্তম্ভিত হয়েছে রাজ্যবাসী৷ তবে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এই আকাশ ছোঁয়া সম্পত্তি শুধু রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না৷ ‘অপা’র সম্পত্তি রয়েছে বিদেশেও৷ ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতা নাকি জুটি বেঁধে হামেশাই থাইল্যান্ডে বেরাতে যেতেন৷ সেখানে বিলাসবহুল হোটেলে থাকতেন তাঁরা৷ কিন্তু কেন বারবার থাইল্যান্ড সফর?
আরও পড়ুন- যানজট এড়িয়ে কোন পথে পৌঁছবেন মণ্ডপে? গাইড ম্যাপ প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ
ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, মাঝেমধ্যেই থাইল্যান্ডে ঘুরতে যেতেন পার্থ এবং অর্পিতা। তাঁদের এই ঘুরতে যাওয়ার পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য৷ পার্থর সেল কোম্পানি সিম্বায়োসিস ট্রেডার্স এর ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরায় তিনি জানিয়েছে, ২০১৪-২০১৫ সালে এক সংস্থার আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন পার্থ। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন অর্পিতা। বান্ধবীর সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীই। সেখানে গিয়ে শুধু সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোই নয়, বাংলোয় কিনেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার অর্ধেক মালিকানা ছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ে নামে৷
অপার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি থেকে তাঁদের থাইল্যান্ড সফরের প্রমাণ মিলেছে। পার্থ এবং অর্পিতা যে বারবার থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন তা সেই সকল নথি থেকে স্পষ্ট৷ ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, অপা ইউটিলিটি সার্ভিসের নামে রিয়েল এস্টেটে একাধিক বিনিয়োগ করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান থাইল্যান্ডের সম্পত্তিও অপা উটিলিটি সার্ভিসের নামেই কেনা হয়েছে।
যদিও বিদেশে সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ খোলেননি পার্থ৷ তবে স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করতেই নাকি সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু থাইল্যান্ড নয়, দুজনে একসঙ্গে গিয়েছিলেন গোয়াতেও। সেখানেও অপার সফরসঙ্গী ছিলেন স্নেহময়। তাঁর ব্যয়ভারও বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, বিদেশে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন স্নেহময়৷ এদিকে, অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নেপাল, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালেশিয়া, আমেরিকার মুদ্রা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। অর্পিতার দাবি, সেই মুদ্রা তাঁর নয়৷ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি এসে তা রেখে গিয়েছেন৷ তবে এবার ইডি-র নজরে তাঁদের থাই সম্পত্তি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>