রাজ্যপাল ‘প্রচারপাল’! বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর

রাজ্যপাল ‘প্রচারপাল’! বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা: প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। যদিও শুক্রবার অবরোধ স্থগিত করেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও বলেন। প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম। প্রথমে তাঁর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না বললেও পরক্ষণেই শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে 'প্রচারপাল' বলে কটাক্ষ করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেল সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়েই চলছিল বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলেই জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। জনসাধারণের অসুবিধার কথা ভেবে অবরোধ স্থগিত হয়। তাঁদের দাবির বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'হস্টেলের সমস্যার ক্ষেত্রে যদি কোনও সরকারি সাহায্যের দরকার পড়ে, সেটা আমরা নিশ্চয়ই দেখব।' এরপর রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কথা উঠলে তিনি সাফ জানান, 'রাজ্যপালকে নিয়ে একটা কথাও আমি বলব না। কারণ রাজ্যপাল প্রচারপাল। আমি তো আর প্রচারপাল নই।' রাজ্যপালকে কেন এমন কটাক্ষ? তার জবাবও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্রতিদিন টুইট করতে হবে। প্রতিদিন আপনাদের মুখোমুখি হতে হবে। এটা বোধহয় আমাদের কাজ নয়। মানুষ ভোটে নির্বাচন করে আমাদের পাঠিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের কাজ করার জন্য। দয়া করে আমাদের কাজ করতে দিন। আরও আরও উন্নয়ন যাতে হয়, সেদিকে সকলে নজর দিন। তাহলেই রাজ্যে আরও উন্নয়ন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে, যে পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আসুন, সবাই মিলে সেটাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরি।'

এছাড়াও এদিন শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'উনি পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটছেন। ঘাঁটুন! কোনও না কোনও ইস্যুতে ওঁর রোজ একবার মুখ দেখানো দরকার। এই বিতর্কে আমি যাব না। এখন বিতর্ক করার সময় নয়, দেশ গড়ার সময়। রাজ্যকে আরও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়।' তবে এতকিছুর মধ্যে বাংলার উন্নয়নের কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তৃণমূলের 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচির কথা তুলে বলেন, 'সংবিধানকে, তার ন্যায়কে, ন্যায়বিচারকে উচ্চে তুলে ধরবার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মমতা। তাই বাংলার গর্ব মমতা।'

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 7 =