কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত এক বছর ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বারবার জামিনের আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি৷ বেশ কয়েকবার আদালতে অসুস্থতার কথাও জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী৷ কিন্তু প্রতিবারই খারিজ হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন৷ তবে এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে জামিন নয়, নজিরবিহীন দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যা শুনে হতবাক খোদ বিচারক৷ পার্থের দাবি, জেলে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দেওয়া হোক তাঁকে।
আদালতে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আমার শরীর ভাল যাচ্ছে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলে ভাল হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘‘দিনের পর দিন শরীর খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। জেলে যদি একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দেওয়া যায়।’’ এহেন আবদার শুনে বিচারক বলেন, ‘‘সেটা জেল ম্যানেজমেন্টই ঠিক করবে।’’ সে কথা শুনেই পার্থ বলেন, ‘‘আপনি বলে দিলে হয়ে যাবে।’’
আদালতে প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, “বাগ কমিটির রিপোর্ট দুই কোর্টই মেনে নিয়েছে। তাহলে এরা তা ফলো করছে না কেন…” পার্থের বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, “সেটা এখন বলে কী হবে।” এর পরেই আগামী ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই। তারা জানায়, পার্থের নাকতলার বাড়িই ছিল দুর্নীতির আখড়া৷ সেখানে অবৈধ প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরও দাবি, স্কুলে কাকে কাকে চাকরি দেওয়া হবে, সেই তালিকা তৈরি হয়েছিল খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাড়িতে৷ তালিকায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে।